১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে! কুন্তল ঘোষকে জামিন দিলে, প্রভাবিত হতে পারে তদন্ত। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নিম্ন আদালতে বৃহস্পতিবার এই দাবিই করল ইডি। এদিকে, এদিন কুন্তল ঘোষের মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে অত্যাচারের অভিযোগ মিথ্যা হতেই পারে কিন্তু, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য হাইকোর্টের।
ইডির দাবি,নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার অঙ্কটা ১০০ কোটিরও বেশি! এর সঙ্গে কুন্তল ঘোষের গভীর যোগসাজশ রয়েছে।বৃহস্পতিবার বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে, ব্যাঙ্কশাল আদালতের সিটি সেশনস্ কোর্টে এই দাবিই করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন কুন্তল ঘোষের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বাড়ি থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। যে টাকার কথা বলা হচ্ছে, তারও হদিশ নেই। পুরোটাই ষড়যন্ত্র।
ইডির আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, কুন্তল নিজেই তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। টাকা কোথায় গেল, তা খুঁজে বের করতে হবে। যেহেতু, এতে কুন্তলের সরাসরি যোগসূত্র মিলেছে, তাই তাঁকে জামিন দিলে, তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হবে।এই যুক্তি শোনার পর, রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের সিটি সেশনস্ কোর্টের বিচারক। এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে অত্যাচারের অভিযোগ মিথ্যা হতেই পারে। কিন্তু, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।ইডি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগও করেন কুন্তল। এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত, কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইকে দিয়ে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেয়। তাতে স্থগিতাদেশ জারি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কুন্তল ঘোষ।বুধবার সেই মামলায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপরে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার বেঞ্চে।ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সেখানে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন কুন্তল ঘোষ।