রাজ্যে একের পর এক মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। কিন্তু সেই বিপুল মামলার ঝক্কি সামলানোর মতো লোকবল নেই তাঁদের কাছে। এমন অবস্থায় মামলার বোঝা সামলাতে বুধবার রাজ্য পুলিশের কর্মী চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) আর্জি জানাল সিবিআই (CBI)। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আর্জির ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে বিশেষ নির্দেশ পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্ত সিবিআই, ইডির হাতে থাকলেও প্রতিটি মামলা বছরের পর বছর ঘুরলেও মামলার কোনও সুরাহা হচ্ছে না। যা নিয়ে হাই কোর্ট সহ বিভিন্ন মহল থেকে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এবার বিপুল মামলার ঝক্কি সামলাতে না পেরে রাজ্য পুলিশের থেকেই কর্মী চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানাল সিবিআই।

বর্তমানে রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তালিকায় সারদা, নারদা, কয়লা পাচার, গরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগ মামলা সহ আরও অনেক তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে৷ ইতিমধ্যে অনেককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে৷ আর সিবিআই, ইডির বিরুদ্ধে বিনা কারণে একাধিক মানুষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠছে। সিবিআইয়ের আর্জি, একসঙ্গে এত মামলা সামলানোর মতো লোকবল তাদের নেই। অন্তত রাজ্য পুলিশ থেকে দু’জন সাব ইনস্পেক্টর এবং আটজন কনস্টেবল, মোট ১০ জন কর্মী তাদের দেওয়া হোক। যারা সিবিআইকেই সাহায্য করার দায়িত্বে পুরোপুরি থাকবে। তবে এদিন সিবিআই-এর প্রয়োজনের গুরুত্ব বিচার করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কয়েকটি নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ওই ১০ জনকে সিবিআইকে ডেপুটেশনে দিতে হবে।

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করার আর্জি নিয়েও এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানায় সিবিআই। সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে এবিষয়ে রাজ্যকে তাঁদের থাকার ঘর ও যাতায়াতের গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।









































































































































