বিদেশী অনুদানে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও অযোধ্যার রামমন্দিরের ক্ষেত্রে দেখা গেল ব্যতিক্রম। বিদেশী অনুদান পেতে বাধা রইল না রামমন্দিরের(Ram Temple)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের(Home Ministry) তরফে ২০১০ সালের বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন বা ‘ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট’ সংক্রান্ত লাইসেন্স তাঁদের দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার জানিয়ে দিলেন অযোধ্যার(Ayodha) শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।
বিদেশি উৎস থেকে আর্থিক অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, মাদার টেরিজার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’, আন্তর্জাতিক অসরকারি সংগঠন ‘অক্সফ্যাম’ এবং সোনিয়া গান্ধী পরিচালিত দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন’ ও ‘রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এ। তবে এই পরিস্থিতির মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফের বিদেশী অনুদান গ্রহণের লাইসেন্স রাম মন্দিরকে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের অনুমান, আসন্ন লোকসভা ভোটে রাম মন্দির ইস্যুকে তুলে ধরতে মরিয়া বিজেপি আর সেই লক্ষ্যেই রাম মন্দিরের বিদেশী অনুদান পাওয়ার পথ পরিস্কার করতে উঠেপড়ে লেগেছে শাহের মন্ত্রক। বিদেশী অনুদানের লাইসেন্স পাওয়া প্রসঙ্গে অযোধ্যার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বুধবার বলেন, “বিদেশি অনুদান দিল্লির স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রধান শাখায় রামমন্দির ট্রাস্টের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই লক্ষ্যেই দিনরাত এক করে কাজ চলছে। রামমন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদিই গর্ভগৃহে স্থাপন করবেন রামলালাকে। লোকসভা ভোটের প্রচারে রামমন্দিরকে সামনে রেখে বিজেপি যে বিপুল প্রচারে নামবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহও নেই। আর এবার রামমন্দিরে বিদেশি অর্থসাহায্য আসার পথে foreign regulation act-এও কোনও বাধা রইল না।