বড়তলায় মহিলাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে এবার পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। সৌমিক চট্টোপাধ্যায় নামে অভিযুক্ত যুবককে কালিম্পঙ (Kalimpong) থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বড়তলা (Bartala) থানা এলাকার রায় বাগান স্ট্রিটের এক বাড়িতে ঢুকে মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে এক মহিলাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত সৌমিকের বিরুদ্ধে। পরে মহিলাকে কুপিয়ে খুন করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধা দিয়েছিলেন মীনাক্ষীর ছেলে। অভিযোগ, সৌমিক তাঁকেও ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে অস্ত্র মুছে পকেটে রেখে নিজের বাইক নিয়ে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হয় অভিযুক্ত।
এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ সৌমিকের নাম জানতে পারেন। তাঁর সঙ্গে মীনাক্ষীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন মীনাক্ষী। তা নিয়েই দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বচসা চলছিল। সেই আক্রোশ থেকেই মীনাক্ষীকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। তদন্তে নেমে সৌমিককেই প্রথম খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। তিনি যে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, সেই তথ্য হাতে আসে পুলিশের। তারপরই উত্তরবঙ্গে একটি টিম পাঠিয়ে কালিম্পঙ থেকে সৌমিক চট্টোপাধ্যায় নামে ওই যুবককে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে মহেশতলার মীনাক্ষীর খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে সৌমিক সম্পর্কে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। ২০২০ সালে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয়ে শিলিগুড়ির এক যুবতীকে বিয়ে করেছিলেন সৌমিক। কিন্তু তারপর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বর্তমানে ওই মহিলা বিয়ে করে শিলিগুড়িতেই রয়েছেন। শিলিগুড়ির ওই মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল সৌমিকের।