
১৯০৬ লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়
(১৯০৬-২০০০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। রাণুর ভাল নাম প্রীতি অধিকারী। বাবা ফণিভূষণ অধিকারী, কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের নামজাদা অধ্যাপক। মা সরযূবালা রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ পাঠিকা ও অনুরাগিণী। রবীন্দ্রনাথের ভরা সংসার ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল মাত্র আট বছরের সময়সীমার মধ্যে। অল্প কিছু বছরের ব্যবধানে রবীন্দ্রনাথ স্ত্রী মৃণালিনী, কন্যা রাণু এবং কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রকে হারিয়েছিলেন। ফলে পিতা হিসেবে রবীন্দ্রনাথের মনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সেখানে হঠাৎই ফণিভূষণের কন্যা রাণু যেন রবীন্দ্রনাথের সেই হারিয়ে যাওয়া কন্যা ‘রাণু’ হয়ে ফিরে এসেছিল। এরই পরিণতিতে ১৯১৭ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৯৪০ সাল অবধি রাণুকে রবীন্দ্রনাথের লেখা মোট চিঠি ২০৮টি। আর রাণুর লেখা মোট চিঠির সংখ্যা ৬৮। এই চিঠিগুলি প্রথমে ধারাবাহিক ভাবে ‘বিচিত্র’ পত্রিকায় ও পরবর্তী কালে বই হয়ে প্রকাশিত হয় ‘ভানুসিংহের পত্রাবলী’ নামে। স্যার বীরেন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পর নিজ গুণে রাণু ইঙ্গ-বঙ্গ পরিবারের ঘরনি হয়েও রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন থেকে পাওয়া তাঁর শিল্পবোধকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় শিল্পচর্চার জগতের ‘লেডি’ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর হাতে গড়া কলকাতার ‘অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’-এর নাম বিশ্বের শিল্পমহলে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়।


১৯৩১ টমাস আলভা এডিসন
(১৮৪৭-১৯৩১) এদিন মারা যান। তিনি গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাল্ব-সহ বহু যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। পেটেন্ট অফিস থেকে জানা যায়, এডিসন তাঁর সারাজীবনে মোট ১৪০০ যন্ত্রের জন্য পেটেন্ট নিয়েছেন। ১৯২১ সালে নিউ ইয়র্কের টাইমস পত্রিকা আমেরিকার মধ্যে সব চাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তি কে, তা যাচাইয়ের জন্য একটি সমীক্ষা করে। ফলাফল অনুসারে দেখা যায় সব চাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তি টমাস আলভা এডিসন। ফ্রান্সে তাঁকে দেওয়া হয় ‘কমান্ডার অব লিজিয়ন অনার’ উপাধি, ইতালিতে তাঁকে ‘কাউন্ট’ উপাধি দেওয়া হয়। তাঁর নিজ দেশ আমেরিকায় তিনি দেশসেবার জন্য স্বর্ণপদক-সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন, ভূষিত হয়েছেন বহু সম্মানজনক উপাধিতে। সরকার এডিসনের ছবি ও তাঁর আবিষ্কৃত প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্বের ছবি দিয়ে ডাকটিকিট বের করেছিল।

১৯১৮ পরিতোষ সেন
(১৯১৮-২০০৮) এদিন অধুনা বাংলাদেশের ঢাকায় জন্ম নেন। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তাঁর কাজ পিকাসোর ভাল লেগেছিল। প্যারিস, লন্ডন ও আমেরিকার নানা শহর-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে তাঁর ছবির প্রদর্শনী হয়। উল্লেখযোগ্য চিত্র ‘তালবীথি’, ‘পাইন বন’, ‘তুলসী মঞ্চ’ ইত্যাদি।

২০০৪ শঙ্কু মহারাজ
(১৯৩১-২০০৪) এদিন প্রয়াত হন। আসল নাম জ্যোতির্ময় ঘোষদস্তিদার। তাঁর ভ্রমণ কাহিনি রচনার সূত্রপাত হিমালয়কে অবলম্বন করে। ১৯৬১-তে তাঁর প্রথম ভ্রমণ বৃত্তান্ত প্রকাশিত হয়, নাম ‘বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা’। উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হল, ‘পঞ্চপ্রয়াগ’, ‘মধু বৃন্দাবনে’, ‘অমরতীর্থ অমরনাথ’, ‘গজমতী গোয়া’ প্রভৃতি।


১৮৭১ চার্লস ব্যাবেজ
(১৭৯১-১৮৭১) এদিন প্রয়াত হন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকতে বেশি পছন্দ করতেন। ইতিহাসের প্রথম যান্ত্রিক কম্পিউটার আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেখান বলে তাঁকে কম্পিউটারের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন নামে দুইটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। তাঁর সেই যান্ত্রিক কম্পিউটারের ডিজাইন এখনও লন্ডন সায়েন্স মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হয়।









































































































































