হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মেসেজের প্রথম প্রেরক সম্পর্কে তথ্য পেতে আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন অনুযায়ী, এবার থেকে কোনও নির্দিষ্ট বার্তার ক্ষেত্রে প্রথম প্রেরক সরকারকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ। কেন্দ্রের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, আইন অনুযায়ী কোনটি ভুয়ো খবর তা স্থির করে দেবে সরকারের তথ্যানুসন্ধানী বিভাগ এবং পরে সেটির ভিত্তিতে মেসেজ অ্যাপ থেকে প্রথম প্রেরকের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। অর্থাৎ, এই আইন আসলে কেন্দ্রের সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টাই!
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই তথ্য মেটাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মেটা জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, কোনও ভাইরাল ছবি, ভিডিও বা তথ্যের ক্ষেত্রে তার প্রথম প্রেরকের নাম, পরিচয় জানা হবে মেসেজ অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের থেকে। বিশেষ করে, এক ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও সম্পাদনার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে ছড়িয়ে দেওয়ার যে প্রবণতা বেড়েছে, তা রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে যুক্তি মোদি সরকারের।
তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এর কথায়, “সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে ব্যবহার করে ভুয়ো ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে সেগুলিকে ভাইরাল করা আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রবণতা থামাতে সেগুলির মূল উৎস জানা দরকার এবং এই প্রবণতা থামানো প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারের এই বিধি তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা লঙ্ঘন করবে। যদিও মোদি সরকারের দাবি, সাধারণ কোনও কথোপকথনের ক্ষেত্রে এই বিধির কোনও প্রভাব থাকবে না। কংগ্রেস মুখপাত্র ডঃ শামা মহম্মদ বলেছেন, “হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছে, এটা তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিধি ভঙ্গ করবে। এটা মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করতে মোদি সরকারের আরও একটা কঠোর পদক্ষেপ।”
আরও পড়ুন:ইজরায়েলের যু.দ্ধে মর্মান্তিক পরিণতি দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণীর! জেনে নিন তাঁদের পরিচয়