জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) মামলায় আরও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। রবিবার থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। এই মামলায় বর্তমানে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬। পাশাপাশি সিবিআইয়ের তল্লাশিতে কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলেছে প্রচুর জাল পাসপোর্ট, আধার ও ভোটার কার্ড। অন্যদিকে, জাল পাসপোর্ট জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সিবিআইয়ের। এদিকে খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে, জাল পাসপোর্টের তদন্তে প্রকাশ্যে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, চক্রের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশির জন্য জাল পাসপোর্ট তৈরি করে পাক চর সংস্থা আইএসআই। এমনকী, জেএমবি ও আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যরাও জাল পাসপোর্ট তৈরি করত বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। পাশাপাশি চক্রের পাণ্ডারা গত আট মাসে উত্তরবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে কয়েকজন নেপালি, তিন চিনা, দুই বাংলাদেশি ও এক মার্কিনি নাগরিককে জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে এই দেশে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যে, জাল পাসপোর্ট মামলায় কলকাতা-সহ গ্যাংটকের ২৫ জন পাসপোর্ট অফিসের কর্তা, বিভিন্ন পদের কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। আর সেকারণেই কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ-সহ সিকিমের প্রায় ৫০টি জায়গায় চলে তল্লাশি। আগেই ঘটনায় এক পাসপোর্ট কর্তা-সহ দু’জনকে গ্রেফতা করা হয়। পাশাপাশি এজেন্টরা যাদের মদতে ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে জাল পাসপোর্ট তৈরি করত, সিবিআই তাদেরও সন্ধান চালাচ্ছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গ্যাংটকের এক পাসপোর্ট আধিকারিক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বহু নেপালের বাসিন্দার ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, স্কুল-কলেজের শংসাপত্র তৈরি করে তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই কাজে দার্জিলিংয়ের এক আধিকারিক যুক্ত বলে অভিযোগ।









































































































































