জার্সি উপহার আনছেন রোনাল্ডিনহো, পুজো উদ্বোধনে জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী

0
1

পুজোর শুরুতেই ফুটবল প্রিয় বাংলায় আসছেন বিশ্বজয়ী ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা রোনাল্ডিনহো। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তাঁর জন্য নিয়ে আসছেন ব্রাজিলের ফুটবলের জার্সি। সেই জার্সি বিশেষ স্মারক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। রবিবার, কলকাতার বিভিন্ন পুজো ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই একথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সদ্য সমাপ্ত স্পেন সফরে গিয়ে লা লিগার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাজ্য সরকার। তিনি নিজেও বার্সেলোনায় গিয়ে ফুটবল মিউজিয়াম এবং স্টেডিয়াম দেখে এসেছেন। সেই সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রোনাল্ডিনহো আগামিকাল কলকাতায় আসছে। আমার সঙ্গে দেখা করবে এবং আমার জন্য জার্সি উপহার আনছে।“ পুজোর কলকাতাতেও ঘুরবেন সেলেকাওয়ের প্রাক্তন তারকা। শ্রীভূমি-সহ একাধিক পুজোর মণ্ডপে যাওয়ার কথা তাঁর। ডায়মন্ডহারবার এফসির মাঠে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার কথা রোনাল্ডিনহোর। একাধিক চ্যারিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কথা।

সবসময়ই বাংলার খেলাধুলো বিশেষ করে ফুটবলের বিষয় আগ্রহী এবং বাংলার ফুটবলের উন্নয়নে সব রকম সাহায্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বিভিন্ন ক্লাব রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক অনুদান পাচ্ছে। ‘জয়ী’ ফুটবল মুখ্যমন্ত্রী মস্তিষ্কপ্রসূত। বিভিন্ন ক্লাবের সেই ফুটবল দেওয়া হয়। এবার রোনাল্ডিনহো এসেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ‘বিবেকের স্পর্শ’! চালতাবাগান সর্বজনীনের থিম সং গাইলেন সরকারি আমলা

তবে পায়ে চোটের কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বাড়িতেই থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধন করছেন তিনি। বারবার তাঁর কথায় উঠে আসছে সেই কথা। আফসোস তিনি সশরীরে পুজো মণ্ডপে গিয়ে উদ্বোধন করতে পারছেন না। তবে সব উদ্যোক্তাদেরই ইউনেস্কোর বিদেশি অতিথিদের নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার বলছেন, মণ্ডপ যেন ফাঁকা না থাকে। বিদেশি অতিথিরা এলে তাঁদের উলুধ্বনি দিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ করতে হবে। তাঁদেরকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করতে হবে।

একইসঙ্গে পুজো কমিটিগুলির প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মহিলা সদস্যদের যেন একই ধরনের শাড়ি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্যদের পোশাক খুব পছন্দ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।