ফের মোদি রাজ্যে (Modi Govt) চরম নির্মমতার অভিযোগ সামনে এল। এবার গুজরাটে (Gujrat) কাজ করতে গিয়ে চরম অবস্থা হল বাংলার দুই তরুণের। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। রাজ্য সরকারের সৌজন্যে আবাস যোজনায় ঘর মিলেছে। তবে সংসারে চরম অর্থাভাবের কারণে দু’পয়সা রোজগার করতে মোদিরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিল রাহুল শেখ (১৮) ও সুমন শেখ (১৬) নামে কালনার কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের নতুনচর গ্রামের ২ তরুণের। সেখানে গিয়ে চোর সন্দেহে দুজনের গণধোলাইয়ে মৃত্যু হল। শনিবার রাতে এমন খবর গ্রামে পৌঁছতেই এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া। আর মোদিরাজ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসায় মুখ পুড়ল ডবল ইঞ্জিন সরকারের (Double Engine Govt)। কৃষ্ণদেবপুরের পঞ্চায়েত সদস্য সফিজ শেখ প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি শাসিত গুজরাটের আইন তলানিতে পৌঁছেছে। ওরা অপরাধ করলে পুলিশ ডাকুক। জেলে দিক। কিন্তু পিটিয়ে মেরে দেবে?

পরিবার সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে রাহুল ও সুমন গুজরাটের রাজকোটে যায়। সেখানকার বহভানাগর রোড এলাকার একটি জুয়েলারিতে চাঁদির গহনা তৈরির কাজ শিখত দুজনে। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে দোকান থেকে কিছু গহনা চুরি যায়। এরপরই মালিকের সন্দেহ হয়, দোকান থেকে গহনা সরিয়েছে রাহুল আর সুমন। গত বৃহস্পতিবার দোকান মালিকের নেতৃত্বে সুমন ও রাহুলকে গোডাউনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেখানেই জ্ঞান হারায় দুজনে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও লাভের লাভ হয়নি। ২ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দোকানের মালিক-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। নিহত রাহুলের মা অহিদা বিবি জানান, গ্রামে দিনমজুরের কাজ করত। তাতে রোজগার হত না। তার কারণে বাইরে গিয়েছিল। অন্যদিকে, নিহত সুমনের বাবা নিজাম শেখের কথায়, দুটো ছেলেকে এভাবে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারবে! ভেবেছিলাম দুটো পয়সা বাড়তি আয় হবে বলেই বাইরে কাজে পাঠিয়েছিলাম। তখন কি আর জানতাম, সন্তানকে এভাবে খুন হতে হবে! যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন চরম শাস্তি হয়। ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজকুমার পাণ্ডে জানান, প্রশাসনের মাধ্যমে রাজকোটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের লোক দেহ আনতে বিমানে রাজকোট গিয়েছেন।









































































































































