লোকসভায় ভোট পাবে না বিজেপি! ভবিষ্যৎবাণী করে সুকান্তকে হুঁ*শিয়ারি পদ্মনেতা অনুপমের

0
3

গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে মানতে নারাজ দলের নিচু তলার কর্মীরা। কলকাতায় সদর অফিস থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar),দিলীপ ঘোষদের (Dilip Ghosh)ছবি মাটিতে ফেলে দেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও সম্প্রতি দেখা গেছে। যদিও এদের বিক্ষুব্ধ আখ্যা দিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙা কোনওভাবে সহ্য করা হবে না। দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। এখানেই শেষ নয় দলীয় কর্মীদের প্রয়োজনে বহিষ্কারের হুমকিও দেন তিনি। এবার দলীয় সভাপতিকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। বিজেপির (BJP)সর্বভারতীয় সম্পাদক বলেন, “এমন চলতে থাকলে লোকসভায় ৫টি সিট পাওয়াও চাপ হবে।”

রাজ্য বিজেপির ভোট পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনুপম। বিগত কয়েকদিনে রাজ্য জুড়ে বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সম্পর্কের ভাঙন চোখে পড়েছে। কর্মীরা অভিযোগ করছেন যে রাজ্য বিজেপিতে উচ্চ পদে থাকা বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। একই সুর শোনা গেল অনুপমের গলায়। কার্যত তিনি একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদারকে। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি পদে বসানোর পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন শুরু। আদি- নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব ক্রমশ বিজেপির ফাটল চওড়া করছে। নাম না করে সুকান্তর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন,” দলীয় পদটিকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন। তাদের বোঝা উচিত এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।” সবার আগে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কী কারণে বিক্ষোভ সেটা জানা উচিত বলেই মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি, সল্টলেকে বিজেপির অফিসের বাইরে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি, অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্যকে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। আবার বাঁকুড়াতে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি কর্মীরা।বনগাঁয় আবার নাম না করে দলের উচ্চ-নেতৃত্বর বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন দলের কর্মীদের থেকে দূরত্ব বাড়ছে পদ্ম শিবিরের।