‘ব্যবসায়ী’ বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চোখ কপালে! ইডির হাতে একাধিক চা.ঞ্চল্যকর তথ্য

0
1

রেশন বন্টন মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের (Interrogation) পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার (Arrest) হন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান (Bakibur Rahman)। গত বুধবার সকাল থেকে ব্যবসায়ী বাকিবুরের কলকাতার (Kolkata) কৈখালির ফ্ল্যাটে লাগাতার তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি (Enforcement Directorate)। এরপরই ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ সাড়ে ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর শুক্রবার তাঁকে আটক করে ইডি। তারপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO COmplex)। বর্তমানে ইডি হেফজতেই রয়েছেন বাকিবুর।

তবে বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য হাতে উঠে আসছে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। ধৃত বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চিনার পার্কে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে হোটেল রয়েছে বাকিবুরের। এছাড়া, বেঙ্গালুরুতেও তাঁর হোটেল রয়েছে। এছাড়া কৈখালিতে ফ্ল্যাটের পাশেই রয়েছে পানশালা। অন্যদিকে, বাকিবুরের গ্যারাজে রয়েছে পোর্শে, বিএমডব্লু, ল্যান্ড রোভারের মতো একাধিক দামি গাড়ি। তবে বাকিবুরের চালকল, গমকল, একাধিক হোটেল সহ এই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি। গত  বৃহস্পতিবারই কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মোট ১২টি জায়গায় হানা দেয় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। যার অন্যতম ছিল বাকিবুর রহমানের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট। ইডি সূত্রে দাবি, বাকিবুরের একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেরও কাজ চলছিল।

২০১৬ সাল থেকে ফুলেফেঁপে ওঠে বাকিবুর। কলকাতায় একাধিক রেস্তরাঁ, পানশালা ও হোটেলের মালিক এই বাকিবুর রহমান। নার্সিংহোম, শপিংমলেও বাকিবুরের অর্থ রয়েছে বলে দাবি ইডির। এর আগে ২০২০ সাল ও ২০২১ সালে বাকিবুরের সংস্থার উপর দায়ের হওয়া দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশ। এরপর ২০২২ সালে বাকিবুরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।