রাত পোহালেই মহালয়া। ইতিমধ্যেই চালতাবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিতে প্রস্তুতিপর্ব তুঙ্গে। পিতৃপক্ষের শেষ আর দেবীপক্ষের সূচনা। একপ্রকার রাত জেগে মণ্ডপে তৈরি হচ্ছে সুরেলা পরিবেশ। চালতাবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসবের এবারের থিম ‘স্পর্শ’। সুরের ধ্বনিতে মোহময়ী হয়ে উঠছে পুজো প্রাঙ্গন। বিভিন্নরকম বাদ্যযন্ত্র নিয়েই এবারের শৈল্পিক চিন্তাভাবনা বলে জানালেন পুজো উদ্যোক্তা মৌসম মুখোপাধ্যায়।

শিল্পী শঙ্কর পাল ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’কে জানান, “শান্তিনিকেতন যাওয়ার পথে একতারার সুর মনকে নাড়া দেয় এবং সেই সময় এক ১২ বছরের শিশুকে দেখলাম অভিভাবকের কাছে জানতে চাইল এটা কী! তখনই মনে হল আজকাল শিশুদের সংগীত জগৎ বা মাটির সাথে যোগাযোগ একেবারেই নেই। এই বাদ্যযন্ত্র সবই প্রকৃতি থেকে তৈরি। এগুলো সম্পর্কে ধারণা তাদের একেবারেই নেই। তাই মানুষের কাছে দুর্গাপুজোর মাধ্যমে এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্যই এই চিন্তা বাস্তবায়িত করছি।”

পুজোর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মৌসম জানিয়েছেন, এক বছরের পুজো শেষের পরেই শুরু হয়ে যায় পরবর্তী পুজোর চিন্তাভাবনা। শিল্পীর চিন্তাকে রূপ দিতে গেলে সময় খুবই কম থাকে হাতে। এবারও তিনি চাননি প্রিয় শিল্পীকে হাতছাড়া করতে। তাছাড়া এমন অভিনব ভাবনা বাস্তবায়িত করতে পারলে মানুষের মনের গভীরে পৌঁছনো যায়।
আরও পড়ুন- পুজোয় ভাসবে কি বাংলা? মহালয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আবহাওয়ার বদল!

































































































































