সমস্যা বাড়ছে ইজরায়েলের (Israel)। এবার হামাসের (Hamas) সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার কথা ঘোষণা লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবুল্লার।ইজরায়েলের উত্তর সীমান্তে ইতিমধ্যেই তারা হামলা শুরু করেছে বলে খবর। গত শনিবার ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্তাইনের (Israel Palestine War) জঙ্গি বাহিনী হামাসের যুদ্ধ অব্যাহত। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। পাশাপশি এবার সিরিয়াকেও টার্গেট করেছে হামাস।
হেজবুল্লা আমেরিকাকে সতর্ক করে জানিয়েছে, “প্যালেস্তাইনকে ইউক্রেন ভাবলে হবে না। বাইরের কোনও শক্তি ইজরায়েল এবং হামাসের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কয়েকদিন আগে হামাস বাহিনী আমেরিকার বহু নাগরিককে হত্যা করেছিল, এমন দাবি করে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ইজরায়েলে যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য সামরিক সহায়তা পাঠানোর কথাও ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন।
ইজরায়েলি সেনা মঙ্গলবার জানিয়েছে, লেবাননের মাটি থেকে ১২টিরও বেশি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ইজরায়েলে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, হেজবুল্লাকে রুখতে উত্তর সীমান্তকে শক্তিশালী করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে, সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কী এই হেজবুল্লা?
হেজবুল্লা শব্দের অর্থ ‘আল্লা বা ঈশ্বরের দল’। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের শিয়া মুসলিমদের এই দল বহুবার চর্চায় থেকেছে। ১৯৮০ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হেজবুল্লা তৈরি হয়েছিল। তবে ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা হাসান নাসরাল্লাহ। আমেরিকা, ইজরায়েল-সহ বহু দেশ হেজবুল্লাকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ১৯৭৮ সালে সেনা পাঠিয়ে দক্ষিণ লেবাননের দখল নিয়েছিল ইজরায়েল। নিউইয়র্ক সিটির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস’ অনুযায়ী, সেই সময়ের পর থেকেই ইজরায়েলের সঙ্গে লেবাননের সংঘর্ষের সূত্রপাত। হেজবুল্লা গোষ্ঠী ইজরায়েলকেই ‘প্রধান শত্রু’ বলে মনে করে। ২০০৬ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে প্রায় ৩০ দিন ধরে যুদ্ধ চলেছিল হেজবুল্লার।
আরও পড়ুন:মোদির মা.ফিয়ারাজ! CAG রিপোর্টের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সরাল কেন্দ্রীয় সরকার