পায়ে চোট! ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৭৮৮ পুজোর উদ্বোধন, কার্নিভালে থাকবেন: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

0
1

“এ বার তো পুজো উদ্বোধনে যেতে পারলাম না। ২৭ তারিখ কার্নিভালে দেখা হবে। আপনারা সবাই আসবেন। ওই দিন আমি বেরোব।“  বৃহস্পতিবার, কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের মোট ৭৮৮ পুজোর উদ্বোধন করে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পায়ে আঘাতের কারণে এবছর আর সশরীরে পুজোর উদ্বোধনে যেতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে পুজোর উদ্যোক্তাদের একেবারে নিরাশ করেননি তিনি। পুজোর উদ্বোধনে সামিল হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সব রকম ভাবে পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

শ্রীভূমি স্পোর্টিং, টালা প্রত্যয়-সহ কলকাতা ও শহরতলির বেশ কয়েকটি বড় পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মমতা (Mamata Banerjee) জানান, “আমি এমনিতে ঠিক আছি। কিন্তু আমার পায়ে একটা চোট আছে। সেই চোট সারতে কিছুদিন লাগবে। ওখানে একটা ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। এখন হাঁটাচলা শুরু করলে ওটা আরও বাড়বে। তাই ডাক্তাররা বারণ করেছেন। আমি সশরীরে আপনাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, মানসিকভাবে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।” এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘এ বার তো পুজো উদ্বোধনে যেতে পারলাম না। ২৭ তারিখ কার্নিভালে দেখা হবে। আপনারা সবাই আসবেন। ওই দিন আমি বেরোব।’’

শ্রীভূমিতে দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে পুজো উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শ্রীভূমিতে প্রতি বছর খুব ভিড় হয়। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিষয়টি দেখবেন। ২৭ তারিখ পুজোর কার্নিভালে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।”

হাতিবাগান সর্বজনীনে ভলান্টিয়ারদের ইউনিফর্ম করা হয়েছে নীল-সাদা। এই ইউনিফর্ম বেশ পছন্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। হাতিবাগানের পুজোর উদ্বোধনের সময় সেকথা নিজেই জানান তিনি। বললেন, “আমার খুব পছন্দ হয়েছে।” হাতিবাগানের প্রতিমাও বেশ পছন্দ হয়েছে মমতার। আহিরিটোলা সর্বজনীনের দেবী প্রতিমা দেখে মুগ্ধ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রতিমাশিল্পীর সঙ্গেও কথা বলে তিনি জানান, কার্নিভালের পর ওই প্রতিমাটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। টালা প্রত্যয়ের প্রতিমা ভার্চুয়ালি দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের থিম ও অন্যান্য সাজসজ্জার বিষয়েও জানতে চান।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এবার ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল অনেক বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আসছে। তাঁদের জন্য আলাদা রুট কর। পুলিশকেও বলব, তাঁদের যেন গ্রিন চ্য়ানেল করে নিয়ে যাওয়া হয়। যেন তাঁদের সম্মান ও অতিথি বরণ ভালভাবে করা হয়।” বলেন, ”এ বার অনেক বিদেশি অতিথি আসবেন। তাঁরা কোথায়, কখন যাবেন আমরা জানি না। তবে আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। তাঁরা গেলেই শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনিতে তাঁদের বরণ করে নেবেন।” এরপরেই সব পুজো উদ্যোক্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, বিদেশি অতিথিদের জন্য মণ্ডপে মাটির থালা, গ্লাস রাখবেন। তাতে করে তাঁদের নাড়ু দেবেন। বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরবেন তাঁদের সামনে। ”মেয়েদের বলবেন শিশিতে গুড়ের নাড়ু বানিয়ে রাখতে। সেগুলি অতিথিদের হাতে তুলে দেবেন। ওটা আমাদের ট্র্যাডিশন।”

আরও পড়ুন: যে কথা সেই কাজ! মহকুমা হচ্ছে ধূপগুড়ি, সিদ্ধান্তে সিলমোহর মন্ত্রিসভার বৈঠকে

কোচবিহার থেকে শুরু করে কাকদ্বীপ- ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারাবাংলার ৭৮৮ পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর।