আ.ন্দোলনকারীদের প্রতি ‘সহমর্মিতা’ অসম্ভব! শিক্ষকদের মিছিলের কথা শুনেই ক্রু.দ্ধ বিচারপতি

0
1

শহরের রাস্তায় মিছিল (Protest Rally) যেন প্রতিদিনের সঙ্গী। বিভিন্ন ইস্যুতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শিক্ষক সংগঠন। এবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) কড়া ধমকের মুখে পড়তে হল সংগঠনকে। বৃহস্পতিবার মিছিলের কথা শুনেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (Justice T S shivangam)। কাজের সময়ে কেন মিছিল করা হবে? এদিন এই প্রশ্নই তুললেন প্রধান বিচারপতি। একাধিক দাবিতে গা জোয়ারি করে শহরে মিছিল করতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিক্ষক সংগঠন ‘বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’। বৃহস্পতিবার শিক্ষক সংগঠনের সেই মিছিল করার আবেদন শুনেই রেগে লাল প্রধান বিচারপতি।

এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, প্রতিদিন ১৫টি করে মিছিল হচ্ছে। আর নয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এবার পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ব্যবহার করতে দিন। পাশাপাশি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এদিন আরও বলেন, শিক্ষকদের আর স্কুলে পড়াতে হবে না, এবার রাস্তায় নেমে পড়ুন। মামলার শুনানি পুজোর আগে কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীর আইনজীবী প্রতীক ধর এদিন প্রধান বিচারপতিকে বলেন, আমাদের বাধ্য হয়ে এই মিছিল করতে হচ্ছে। ডিএ সহ বেশ কিছু আবেদন আছে। খুব ছোট সংগঠন। তাই মিছিলের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। তা শুনেই ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, চলুন সবাইকে ব্লক করে দিই। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে না। তিনি আরও বলেন, সংবাধমাধ্যমে দেখলাম অফিসযাত্রী, বাচ্চারা হয়রান হচ্ছে। এই অবস্থায় আমি আন্দোলনকারীদের প্রতি কোনও সহমর্মিতা দেখাতে পারব না। অ্যাম্বুল্যান্স যেতে না পারুক, রাস্তায় লোক মরুক। তাতে আমাদের কোনও চিন্তা নেই। জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ বলে চিৎকার করব। এরপরই প্রধান বিচারপতি জানান, আর যাই হোক পুজোর আগে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

বিকাশ ভবন তাঁদের ডেপুটেশন গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন ওই সংগঠনের সদস্যরা। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবারই মিছিল করতে চেয়েছিল বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে প্রধান বিচারপতি এই মামলা দ্রুত শোনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন না। তাই পুজোর ছুটির পর ফের শোনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা করেছিল এই সংগঠনই। তিন হাজার শিক্ষক একসঙ্গে রাস্তায় নামতে চান জেনে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিচারপতি সেনগুপ্তও।