করমণ্ডলের পর আ.তঙ্ক বাড়াচ্ছে নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস! ফের ‘যাত্রী সুরক্ষা’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে রেল  

0
2

করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও দেশবাসীর মনে একদম টাটকা। আর তার ১০০ দিন কাটতে না কাটতেই ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা (Rail Accident)। বুধবার রাতে বিহারের (Bihar) বক্সার জেলার রঘুনাথপুর রেল স্টেশনের কাছেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় দিল্লি থেকে কামাক্ষ্যার উদ্দেশে আসা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস (North East Express)। দুর্ঘটনায় এখনও অবধি ৬ যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত কমপক্ষে ৮০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ জন যাত্রীর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে খবর। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটতে পারত। অল্পের জন্য সেই বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে লাগাতার ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে রেলের গাফিলতিকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। একের পর এক দুর্ঘটনার পরও কেন শিক্ষা নিচ্ছে না কেন্দ্রের রেল মন্ত্রক তা নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর বুধবার রাত থেকেই জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রেললাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি রুট পরিবর্তনও করা হয়েছে বিভিন্ন ট্রেনের। বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস। একটি কামরার উপরে উঠে যায় আরেকটি কামরা। ওড়িশার বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর যে ছবি সামনে এসেছিল, এবার সেই দৃশ্যই দেখা গেল বিহারের বক্সারে। তবে দুর্ঘটনার পর রেলের সাফাই, ৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকাজ শুরু হতেই দেখা যায়, গোটা ট্রেনটিই লাইনচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি কিছু কামরা রেললাইনের পাশের ট্র্যাকে ছিটকে পড়েছে।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। চার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৭০ জন। তাদের উদ্ধার করে আশেপাশের স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের পাটনার এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ভোরেই রেলের তরফে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন আপ ও ডাউন লাইন মিলিয়ে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল ও রুট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শ্রমজীবী এক্সপ্রেস, তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস, ফারাক্কা এক্সপ্রেস সহ বহু ট্রেন।