দেশের একাধিক জেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রয়েছেন বহু রোহিঙ্গা(Rohinga) শরণার্থী। এই শরণার্থীদের মুক্তির বিষয়ে এবার হস্তক্ষেপ করল সর্বোচ্চ আদালত(Supreme Court)। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চ এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত কী? তা জানানোর নির্দেশ দিল।

বিনাবিচারে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। তাঁদের মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আরজি জানিয়েছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। মঙ্গলবার এই আবেদনের শুনানি চলাকালীন তিনি জানান, মায়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবন এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারী। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের ওই আবেদনের জেরে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গারা পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন স্টেটের উত্তরাংশে বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠী। ধর্মের বিশ্বাসে এরা অধিকাংশই মুসলমান। নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এরা অবৈধভাবে প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতে ঢোকে। তবে রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৭ সালে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে নরেন্দ্র মোদি সরকার জানিয়েছিল, ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির যোগ রয়েছে যা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির।










































































































































