দফায় দফায় আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের অ.শান্তি! পুলিশি হস্তক্ষেপে উঠল অবস্থান

0
1

আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) অবিলম্বে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। আর সেই দাবিতেই ফের উত্তাল মহানগর। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অফিস তথা আচার্য সদনে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে যানজট ও নিত্যযাত্রীদের যাতে কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেকারণেই চাকরিপ্রার্থীদের বাঁধা দেয় পুলিশ। আর তাতেই ক্ষোভে করুণাময়ী মোড়ে (Karunamoyee More) জমায়েত শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে গায়ের জোরে চাকরিপ্রার্থীরা জমায়েত শুরু করলে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে পুলিশের উপর চড়াও হয় তারা। এরপরই রীতিমতো পুলিশদের উপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। পরে অশান্তির চেষ্টা করলে বেশ কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে (Prison Van) তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে পুলিশের অনুরোধে ধর্না তুলে নিয়েছেন ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এদিন করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিলেও এদিন দুপুরেই রাসবিহারী মোড়ে ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তবে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন বলে খবর।

তবে এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, পুজোর মুখে রাস্তায় বসে থাকবেন না। বাড়িতে যান। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। বিরোধীদের ‘শকুনের রাজনীতি’র পাল্লায় পড়বেন না। মুখ্যমন্ত্রী খুব আন্তরিক ভাবে চাইছেন চাকরি হোক। কিন্তু কোর্টের প্রক্রিয়ায় তা আটকে আছে। তবে কুণাল এদিন মনে করিয়ে দেন, আত্মঘাতী আন্দোলন চলছে। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে গিয়ে ছবি তুলছে, অন্যদিকে চাকরি আটকাতে বিরোধীরাই কোর্টে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর থেকেই সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, দু’বার ইন্টারভিউয়ের পর আবার ২০১৭ সালের প্রার্থীদের সঙ্গে ইন্টারভিউ দেবেন না তাঁরা। অন্যদিকে, মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাফ জানিয়েছিলেন, নিয়ম ভেঙে কোনওভাবেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে না। আর তারপর থেকেই মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরই এদিন ধর্না তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিপ্রার্থীরা।