প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) থেকে বেরিয়ে এলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তে সহযোগিতার জন্যই সকাল ১০ টা ৫৭ মিনিটে ইডির দফতরে পৌঁছে যান তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। গত ৪ অক্টোবর, বুধবার রুজিরাকে নোটিশ পাঠানো হয়। এই প্রথম নিয়োগ মামলায় রুজিরাকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার তদন্তের জন্যই তাঁকে এদিন ডেকে পাঠানো হয়।
এদিন রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলকে টার্গেট করে বিজেপি যে চক্রান্ত করছে, এটা তারই একটি অংশ। এর আগেও চারবার ডেকেছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এরপরই কুণালের অভিযোগ, আসলে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। অভিষেক গলার কাঁটা। সেকারণেই তাঁকে হেনস্থা করার জন্য লাগাতার তাঁর পরিবারকে ডাকা হচ্ছে। আসলে বিরোধীদের হাতে ইস্যু তুলে দেওয়ার জন্য এই ডাকাডাকি। এরপরই বিরোধী দলনেতা তথা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়ে কুণাল প্রশ্ন তোলেন, শুভেন্দু তো রেজিস্টার তোলাবাজ। সারদা-নারদায় অভিযুক্ত। তাহলে কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ওর এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। তবে ধর্না থেকে নজর ঘোরাতেই এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এজেন্সি ভালোই বুঝতে পারছে এর কোনও যৌক্তিকতা নেই।
তবে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ব্যারিকেড করে রাখা হয় চারদিক। পাশাপাশি গাড়ি চলাচলেও রাশ টানা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ রুজিরা সিজিওতে ঢোকার পরও আঁটসাঁট ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।