যা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে

0
2

সুধীন দাশগুপ্ত

১৯২৯

সুধীন দাশগুপ্ত (১৯২৯-১৯৮২) এদিন যশোরের বড়কালিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম সুধীন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত। একটি জলসায় ওয়ালিউল্লাহ খান সাহেবের বাদন অনায়াস দক্ষতায় তুলে নিয়েছিলেন যখন নিজের কচি আঙুলে, সেই সময় সেতারে কোনও প্রথাগত শিক্ষাই ছিল না তাঁর। ছোটবেলা কেটেছে দার্জিলিং শহরে। সেখানে থাকাকালীনই ক্যাপ্টেন ক্লিভার, জর্জি ব্যাংকস, রবার্ট কোরিয়ার কাছ থেকে শেখেন পিয়ানো। লন্ডনের রয়্যাল স্কুল অব মিউজিক থেকে মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করেন। শুধু গানবাজনাই নয়। খেলাধুলোতেও সমান দড় ছিলেন তিনি। তিনবার ব্যাডমিন্টনে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। দার্জিলিংয়ে বিরাট ধসের কারণে তাঁর গোটা পরিবারকে কলকাতায় চলে আসতে হয়। ওঠেন শ্রীনাথ মুখার্জি লেনে এবং তার পর সিঁথির বাড়িতে। শুরু হয় মিউজিক ডিরেক্টর কমল দাশগুপ্তের সহকারী হিসেবে কাজ করা। তার পর ধীরে ধীরে তিনি জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় গণনাট্য আন্দোলনের সঙ্গে। ‘ওই উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্নরঙিন’, ‘স্বর্ণঝরা সূর্যরঙে’, ‘এই ছায়াঘেরা কালো রাতে’র মতো অসংখ্য গান তিনি গণনাট্য সংঘের জন্যই তৈরি করেছিলেন। মান্না দে-র সঙ্গে সুধীন দাশগুপ্তের নামটা প্রায় অবিচ্ছেদ্য হয়ে দাঁড়ায়। ‘শঙ্খবেলা’য় উত্তমকুমারের পাশাপাশি, তরুণ সৌমিত্রর লিপে মান্না দে-র কণ্ঠে ‘তিন ভুবনের পারে’ ছবির ‘জীবনে কি পাব না’, ‘হয়তো তোমারই জন্য’ বা ‘বসন্ত বিলাপ’-এর ‘লেগেছে লেগেছে আগুন’ তাঁরই লেখা এবং সুর করা। বাঙালি এখনও এই গানগুলোর নস্ট্যালজিয়া থেকে বেরোতে পারেনি।

সুমিতা সান্যাল

১৯৪৫

সুমিতা সান্যাল (১৯৪৫-২০০৭) এদিন দার্জিলিংয়ে জন্ম নেন। বাবা গিরিজা গোলকুন্ডা সান্যাল মেয়ের নাম রেখেছিলেন মঞ্জুলা। পরিচালক বিভূতি লাহার পরিচালনায় ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এ অভিনয় করতে যাওয়ার পর তিনি মঞ্জুলার নাম বদলে রাখেন সুচরিতা। পরে সেই নাম বদলে সুমিতা দেন পরিচালক কনক মুখোপাধ্যায়। প্রায় ৪০টির বেশি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুমিতা। দিলীপ কুমারের বিপরীতে ‘সাগিনা মাহাতো’ অথবা ‘আনন্দ’-এ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে সুমিতার অভিনয় দর্শকের প্রশংসা পেয়েছিল। ‘আশীর্বাদ’, ‘গুড্ডি’, ‘মেরে আপনে’র মতো হিন্দি ছবি এবং ‘নায়ক’, ‘দিনান্তের আলো’, ‘সুরের আগুন’, ‘কাল তুমি আলেয়া’সহ প্রচুর বাংলা ছবিতে তাঁর অভিনয় মনে রাখার মতো।

কালীকিঙ্কর সেনগুপ্ত

১৮৯৩

কালীকিঙ্কর সেনগুপ্ত (১৮৯৩-১৯৮৬) এদিন বর্ধমানের উখড়াতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা চন্দ্রকান্তের মতো তিনিও ছিলেন স্বনামখ্যাত চিকিৎসক। সাহিত্যেও তাঁর ব্যুৎপত্তি ছিল। স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বাধীনতা ও হরিজন আন্দোলনের ভিত্তিতে লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মন্দিরের চাবি’ ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত করে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনর কলকাতা শাখার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সঙ্গীতজ্ঞ ও গীতিকার হিসেবেও খ্যাত ছিলেন।

ক্ষুদিরাম দাস

১৯১৬
ক্ষুদিরাম দাস (১৯১৬-২০০২) এদিন বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে জন্ম নেন। বিশিষ্ট রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ। প্রেসিডেন্সি, স্কটিশ চার্চ, হুগলি মহসীন, কৃষ্ণনগর, মৌলনা আজাদ-সহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক ছিলেন। রবীন্দ্র পুরস্কার ও বিদ্যাসাগর পুরস্কার-সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

সরোজনলিনী দত্ত

১৮৮৭
সরোজনলিনী দত্ত (১৮৮৭-১৯২৪) এদিন হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে জন্মগ্রহণ করেন। স্বামী ব্রতচারী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা গুরুসদয় দত্ত। স্বামীকে ব্রতচারী সমিতি গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। খেলাধুলা, ঘোড়ায় চড়া ও সংগীতে পারদর্শী ছিলেন। বহুমুখী প্রতিভা ও জনকল্যাণকর কাজের জন্য ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ তাঁকে এমবিই উপাধি দেন।

১৯৭০
দ্বিজেন্দ্রকুমার স্যান্যাল (১৯০৭-১৯৭০) এদিন প্রয়াত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বৃত্তি ও স্বর্ণপদক পান। ১৯৩২-এ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে যোগ দেন। এখানে সাংবাদিকতা পাঠের সূচনা করেন তিনি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যনেজমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেটির ডিরেক্টর হয়েছিলেন।