বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস! ইজরায়েলে যু.দ্ধজাহাজ পাঠানোর নির্দেশ বাইডেনের

0
3

আগেই বন্ধু হিসাবে ইজরায়েলের (Israel) পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিল আমেরিকা (America)। এ বার সরাসরি ইজরায়েলকে সমর্থন জোগাতে যুদ্ধজাহাজ  ও যুদ্ধ বিমান পাঠানোর কথা ঘোষণা করল জো বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। রবিবার আমেরিকার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ইজরায়েলের বহু নাগরিকের। তবে ঠিক কত জন আমেরিকান এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার পরই পেন্টাগনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রবিবারই ইজরায়েলে রণতরী এবং যুদ্ধ বিমান (Warships) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ইজরায়েল বনাম হামাসের লড়াই আরও বড় মাত্রা নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৪০০ ছুঁয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে পেন্টাগনের তরফে রবিবার জানানো হয়েছে, তারা জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের একটি যুদ্ধবিমান এবং রণতরী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠাচ্ছে। এর ফলে হামাসের অতর্কিত আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা ইজরায়েলের বাড়বে। রবিবারই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষা খাতে আনুষঙ্গিক সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ইজ়রায়েলের কোনও শত্রু যেন এমনটা মনে না করে যে, তারা বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারবে। অন্যদিকে, আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রবিবারই জানিয়েছেন, অন্তত এক হাজার জন হামাস জঙ্গি ইজ়রায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। তবে তাদের বেশিরভাগকে পাল্টা হামলায় মারা হয়েছে কিংবা গাজায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। রবিবার হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেছে ইজরায়েল।

দক্ষিণ ইজরায়েলের তিনটি প্রধান এলাকায় হামাস যোদ্ধারা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধে বিরাম নেই। ক্রমাগত শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির শব্দ।  পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি মোহাম্মদ জামজুম জানিয়েছেন, হামাসের দখলে থাকা স্থানগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার জন্য ইজরায়েল বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে।