বাংলার ক্রিকেটার এবার পুরসভার সাফাই কর্মী!

0
1

পুরসভার মজদুর সাফাই কর্মী পদে আবেদন করলেন বাংলার ক্রিকেটার (Bengal Cricketer)। চাকরি প্রার্থীর তালিকায় আছেন ফার্স্ট ডিভিশন ফুটবল (First Footballer) খেলা প্লেয়ারও। ব্যাপারটা কী? কলকাতা পুরসভার (KMC) চাকরির আবেদন করার নিয়মেই মিলেছে গন্ডগোল। তাই বাড়ি বাড়ি থেকে বাঁশি বাজিয়ে ময়লা সংগ্রহ, সেই ময়লা নিয়ে কম্প্যাক্টর স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া, এমনকী রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার কাজে এবার নাম লেখাতে দেখা গেল মেধাবী খেলোয়াড়দের। বিস্মিত ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রাক্তন সিএবি কর্তা বিশ্বরূপ দে (Biswarup Dey)। প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন তাঁকে দিয়ে কি আদৌ রাস্তা ঝাঁট দেওয়ানো সম্ভব?

 

আসলে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal Municipal Service Commission) সাফাই কর্মী নেওয়ার বিজ্ঞাপনেই লুকিয়ে গন্ডগোল। সাফাইকর্মী হিসেবে লোক নেওয়ার জন্য মেধাবী খেলোয়াড়, প্রাক্তন চাকরিজীবী, পূর্ত দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী এবং স্বল্প দৃষ্টিশক্তিহীনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এখান থেকেই যত ঝামেলার সূত্রপাত। চাকরিটা যাতে হয়ে যায় তার জন্য আবার ওই প্রাক্তন ক্রিকেটার, ফুটবলাররা তদ্বির করেছেন পুরসভার কাউন্সিলরকে। পুরসভার বিজ্ঞাপনে দেখা যায় মেধাবী খেলোয়াড় অথবা মেরিটোরিয়াস স্পোর্টস পার্সন কোটায় নেওয়া হচ্ছে ৭ জনকে, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী কোটায় নেওয়া হবে ২৪ জনকে। স্বল্প দৃষ্ট শক্তি বা লো ভিশন কোটায় নেওয়া হবে ১ জনকে।শনিবার কলকাতা পুরসভায় এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর।বিশ্বরূপ দে বলেন, প্রাক্তন খেলোয়াড়, স্বল্প দৃষ্টিশক্তিহীনদের নিলে প্রকৃত কাজ ঠিকমতো হবে না। ঝাঁট দেওয়ার কাজে যাঁরা দক্ষ তাঁদেরই নেওয়া হোক। প্রয়োজনে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের আইন বদল করা হোক। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই নিয়ম কি পাল্টানো সহজ। দ্বিধা বিভক্ত পুর আধিকারিকরা।