ইজরায়েলের মাটিতে বেনজির হামলা চালাল প্যালেস্তাইেনর উগ্রপন্থী সংগঠন হামাস। ইজরায়েলের মূল ভুখণ্ড লক্ষ্য করে একসঙ্গে ৫০০০ রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের আহত ৩০০ জনেরও বেশি। হামাসের এই আক্রমণের জবাব দিতে দুপুরেই পুরোদস্তুর যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, “হামাসকে এই জঘন্য কাজের জন্য মূল্য চোকাতেই হবে। এটা আর কোনও অনুপ্রবেশ বলে বিবেচিত হবে না। এটা যুদ্ধ। আমরা এর জবাব দেবই।” এদিকে হামাসের এই হামলার পর ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জানা গিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধকে ইজরায়েল নাম দিয়েছে ‘অপারেশন আয়রন শোর্ডস’। নেতানিয়াহু যুদ্ধ ঘোষণা করতেই গাজা স্ট্রিপে হামাসের ডেরা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েলের বায়ুসেনা। অন্তত এক ডজন লড়াকু বিমান নামিয়েছে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে এটা স্পষ্ট যে সুপরিকল্পিত ভাবেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে নেমেছে হামাস। একদিকে রকেট হানা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে হামাস উগ্রপন্থীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলের মূল ভূখণ্ডে। এমনকি প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করেও হানা দিয়েছে ইজরায়েলে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের বেশ কিছু জায়গা দখল করেছে হামাস। এমনকি ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর অনেককে তারা বন্দি করেও রেখেছে। পরিস্থিতি বিচার করে ইজরায়েলের বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা এবং উদ্ধারকারী সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আলম রক্তদান অভিযান শুরু করেছে। অন্যদিকে প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, আমাদের জনগণের “দখলদার সৈন্যদের সন্ত্রাসের” বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। তাঁর সভাপতিত্বে একটি জরুরি মিটিং হয়। সেখানে প্যালেস্টাইনের বেসামরিক ও সামরিক আধিকারিকরা ছিলেন।
পাশাপাশি এই ঘটনায় ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সহ অন্যান্য দেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন এক্স-এ লেখেন, “ইজরায়েলে জঙ্গি হামলা নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। আক্রান্ত সাধারণ মানুষদের পাশে আমরা আছি। কঠিন সময়ে ইজরায়েলের পাশে আমরা রয়েছি।” ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য শনিবার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ভারতীয়রা যেন সুরক্ষিত স্থানে থাকেন এবং খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা না রাখেন। ভারতীয় দূতাবাস নাগরিকদের সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা সমস্ত নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করতে বলেছে। ভারতের পাশাপাশি ইজরাইলকে সমর্থন করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “ইজরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি এই হামলায় আক্রান্ত, তাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।”







































































































































