রাজভবনের ধরনা মঞ্চে রথীন-দেবাংশুর নি.শানায় রাজ্যপাল

0
4

রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে দেখা না করা পর্যন্ত রাজভবনের সামনেই বসে থাকবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার তেমনটাই ঘোষণা করছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, টানা অবস্থানে বসবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতও কাটিয়েছেন ধর্নামঞ্চেই। শুক্রবার সকাল থেকে আবার রাজভবনের সামনে তৃণমূলের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সেই ধরনা মঞ্চে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, আমার বাড়িতে গতকাল ইডি তল্লাশি চালায়। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই তল্লাশি সেটাই বুঝতে পারলাম না। আমি ইডিকে জিজ্ঞাসা করলাম এত ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে কী পেলেন? উত্তরে উনি শুধু বললেন, এটা আমাদের ডিউটি। ৩০ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়েও কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি ইডি। আসলে আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে দিল্লিতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম, তাই হেনস্থা করতেই এই তল্লাশি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব চলবে। আমাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া সহজ নয়।
যে নেত্রী ৩৪ বছরের বাম অপশাসনকে উৎখাত করেছে বাংলার মাটি থেকে, সেই নেত্রী কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করেন না। আর আমরা সেই দলের সৈনিক। তবে চব্বিশ সাল পর্যন্ত অনেক বাধা আসবে। আমাদের একজোট হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করতে হবে।

যাই হোক আজ নেতৃত্ব আমাকে মঞ্চে কিছু বলার জন্য নির্দেশ দেয়। আমাদের দাবি একটাই, বাংলার গরিব বঞ্চিত মানুষের পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। আগে থেকে সময় দেওয়ার পরও দিল্লিতে কেন্দ্রের মন্ত্রী আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেনি। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা করেই কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী এমন করেছে। মনে রাখা দরকার, এই আন্দোলন শুধু তৃণমূলের নয়, বাংলার বঞ্চিত গরিব মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবি।

এরপর কলকাতায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তিনি সাহস পেলেন না দেখা করার। দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গ, আবার উত্তরবঙ্গ থেকে দিল্লি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কোনও লাভ হবে না। উনি দেখা না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্ণা চলবে। আসলে রাজ্যপাল নিজের কথায় চলেন না। কিন্তু দেখা ওনাকে করতেই হবে। ১০০দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র যাতে ফিরিয়ে দেয়, রাজ্যপালকে পদক্ষেপ নিতেই হবে।

এদিন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার মাটিতে সিপিএম-কংগ্রেসের সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনে নেই, টিভির পর্দায় আছে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস।দিল্লিতে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উপর বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করেছে দিল্লির অমিত শাহের পুলিশ। নরেন্দ্র মোদি আসলে আঘাত করলেন ভারতবর্ষের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০দিন নবজোয়ার যাত্রা থেকে বঞ্চিত মানুষের কথা শুনে অধিকার আদায়ের জন্য দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন। সামান্য দাবি ছিল, যে গরিব মানুষগুলিকে কাজ করিয়েছে, কেন্দ্র যেন তাঁদের পাওনা মিটিয়ে দেয়। তাই এই লড়াই আন্দোলন ধর্ণা শুধু তৃণমূলের নয়, বাংলার গরিব মানুষের।দিল্লিতে যখন আমাদের নেতা সাংসদরা যান তখন প্রথমে পালালেন বড় মন্ত্রী, তারপর পালালেন ছোট মন্ত্রী, আর এখন কলকাতা থেকে পালালেন রাজ্যপাল।

বাংলার মাটিতে সিপিএম-কংগ্রেসের সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনে নেই, টিভির পর্দায় আছে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস।দিল্লিতে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উপর বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করেছে দিল্লির অমিত শাহের পুলিশ। নরেন্দ্র মোদি আসলে আঘাত করলেন ভারতবর্ষের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে।

ইন্ডিয়া জোট দেখে ভয় পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাই শিবসেনা থেকে আপ, সব দলের নেতাদের ইডি-সিবিআই গ্রেফতার করছে। বাংলাতেও চেষ্টা করছে, কিন্তু পেরে উঠছে না।নরেন্দ্র মোদি যদি ভেবে থাকেন তিনি অপরাজেয়, তাহলে তাঁকে মনে করিয়ে দিই। সিপিএম ২৩৪ আসন পেয়ে ভেবেছিল তাদের কেউ হারাতে পারবে না, কিন্তু হাওয়াই চপ্পল পরা একটা মহিলার কাছে পরাস্ত হতে হয়েছিল। মোদিকেও একদিন পরাস্ত হতে হবেবাংলার বঞ্চিত গরিব মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবি।