হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ! কামদুনিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের  

0
3

কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Verdict) নিম্ন আদালত যাদের দোষী সাব্যস্ত করে কঠোরতম শাস্তি দিয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) তাদেরই শাস্তি মকুবের পাশাপাশি রদও করা হয়েছে। কামদুনির এদিনের রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID)। এদিন তিন অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদের পাশাপাশি ২ জনকে বেকসুর খালাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যেতে চলেছে রাজ্য।

তবে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (Special Leave Petition) দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিআইডি। তবে শুধু লিভ পিটিশন দায়ের নয়, ডিআইজির নেতৃত্বে গঠন করা হচ্ছে টিম। খুব শীঘ্রই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সেই টিমের সদস্যরা। তবে যেহেতু এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে ছিল। সেকারণে সিআইডির হয়ে এই পিটিশন ফাইল করবে রাজ্য। হাইকোর্টের কোনও রায় বা কোনও আদালতের নির্দেশে রাজ্য খুশি না হলে সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে এই স্পেশাল লিভ পিটিশন ফাইল করার সুযোগ থাকে। সেটাই এবার রাজ্য সরকার করতে চলেছে বলে খবর। কারণ, দেশের শীর্ষ আদালত যদি নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে, তাহলে ফাঁসির নির্দেশ বহাল থাকবে।

২০১৩ সালের ৭ জুন। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রথমে গণধর্ষণ, তারপর নৃশংস ভাবে খুন করা হয় এক ছাত্রীকে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। এই ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল মোট ৯ জনের। কিন্তু নিম্ম আদালতে মামলা চলাকালীনই মৃত্যু এক অভিযুক্তের। বেকসুর খালাস পেয়ে যায় আরও ২ জন। কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বাকি ৬ জন। ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড, আর ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। অভিযুক্তরা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করলে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। যে ৬ জন দোষী সাব্যস্ত হয়, হাইকোর্টে সাজা কমানোর আবেদন জানায় তারা। সেই মামলার শুনানিতে এদিন তিন অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদের পাশাপাশি ২ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ হাই কোর্টের।