হিন্দু বিবাহের অপরিহার্য অঙ্গ অগ্নিসাক্ষী করে যুগলের সাতপাকে বাঁধা পড়া। সেই নিয়ম মানা না হলে হিন্দু বিবাহ আইনের(hindu marriage act) চোখে অবৈধ। বিবাহ সম্পর্কিত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানালেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) বিচারপতি।
আইনত বিচ্ছেদ না হলেও তাঁর স্ত্রী অন্য ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। এমনই অভিযোগ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে সত্যম সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় স্মৃতি সিংয়ের। বিয়ের পরেই উভয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এরপর স্মৃতি শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন এবং স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে পনের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ আনেন। পাল্টা সত্যম স্মৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, বিবাহ বিচ্ছেদ না করেই অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন স্মৃতি। পাশাপাশি সত্যম আরও একটি মামলা দায়ের করে জানান, দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন স্মৃতি। যদিও স্মৃতির আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের হেনস্থা করতেই মিথ্যা অভিযোগ এনেছে সত্যম।
এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিংয়ের পর্যবেক্ষণ, “যতক্ষণ না বিবাহ যথাযথ আচার মেনে হচ্ছে, ততক্ষণ সেই বিয়েকে বৈধ বলা যায় না।” তাঁর আরও মন্তব্য, হিন্দু বিবাহ পদ্ধতি অনুযায়ী “বিয়ে যদি বৈধ না হয়, তবে আইনের দৃষ্টিতেও সেটি বৈধ বিবাহ নয়। সাতপাক হিন্দু বিবাহের একটি অপরিহার্য রীতি। বর্তমান মামলায় তার প্রমাণ মেলেনি।” উল্লেখ্য, হিন্দু বিবাহ আইনে সাতপাক-সহ যাবতীয় রীতি মেনে বিবাহের কথাই বলা হয়েছে। সেই দৃষ্টান্তই তুলে ধরে আদালত।