রাজ্যপাল ফেরার পর সাক্ষাতের আবেদন, তৃণমূলের তরফে ফের চিঠি গেল রাজভবনে

0
2

বাংলার মানুষের টাকা আদায়ে রাজ্যপালের (Governor) সঙ্গে দেখা করার সময়সীমা চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই কর্মসূচি ঘোষিত হতে না হতেই কলকাতা ছেড়ে উত্তরবঙ্গ এবং সেখান থেকে দিল্লিতে গিয়ে মুখ লুকিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু বাংলার মানুষের হকের পাওনা আদায়ে অনড় তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি আজকের অভিযানে ঘোষণা করেন রাজভবনের গেটের সামনে রাতভর ধর্নায় থাকছেন। শুধু তাই নয় রাজ্যপাল না ফেরা পর্যন্ত রাজভবনের এই কর্মসূচি থেকে এক চুল নড়বেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। এর মাঝে ফের রাজভবনকে চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূলের তরফে সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi) রাজ্যপালের উদ্দেশে চিঠিতে লেখেন, “কেন্দ্র লাগাতার বঞ্চনা করছে বাংলাকে। MGNREGA প্রকল্পের অধীনে ১০০ দিনের কাজে ২০ লক্ষ মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বঞ্চিত মানুষ ও ভুক্তভোগীরা আজ রবীন্দ্রসদন থেকে রাজভবন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছে। আপনার সঙ্গে দেখা হলে আমরা সবিস্তারে গোটা বিষয়টি জানাব। আমরা ১০ জন ভুক্তভোগী ১৫ জন জনপ্রতিনিধি এবং আরও ২৫ জন মিলে আপনার ফেরার পর সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে এই চিঠি লিখছি।” যদিও এর আগে দুটি চিঠি এবং ইমেল করা হলেও রাজভবনে তরফে তার কোন উত্তর দেওয়া হয়নি বলেও তৃণমূলের এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি যে ২৫ জন যাবেন তাঁদের তালিকাও এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত এই চিঠির কোন উত্তর দেয়নি রাজভবন।

বৃহস্পতিবার, সন্ধেয় তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, রাজ্যপাল রাজভবনে উপস্থিতি নেই। সেই কারণে বকেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিতে রাজভবনে যাবেন তৃণমূলের ১৫জন প্রতিনিধি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, টানা অবস্থানে বসবেন তাঁরা। রাতও কাটাবেন ধর্নামঞ্চেই। তবে তৃণমূলের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য যাঁরা দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন, তাঁরা চাইলে ফিরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে আবার রাজভবনের সামনে তৃণমূলের কর্মসূচি শুরু হবে। সৌজন্য দেখাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যপালের জমিদারির মনোভাবের প্রতিবাদ করেন অভিষেক। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, রাজ্যের পাওনা আদায় দিল্লি গিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষকে ১০০দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি কেন্দ্র।