জল জীবন মিশন প্রকল্পে গতি আনতে বিশেষ উদ্যোগ! বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের

0
1

জল জীবন মিশনের (Jal Jeevan Mission Project) আওতায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে পূরণ করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার (Govt of West Bengal)। আর সেকারণে কাজের গতি বাড়াতে পাম্পিং স্টেশন (Pumping Station) ও জল শোধনাগার নির্মাণে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে রাজ্যে জল জীবন মিশন প্রকল্পের গতি ব্যাহত হচ্ছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তারপরেই প্রকল্পে গতি আনতে বাজার থেকে জমি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভা নদিয়ার রানাঘাট, চাকদহে জমি কেনার অনুমতি দিয়েছে। আর সেই জমি কিনতে ২৯ লক্ষ ৪৭ হাজার  টাকার বেশি খরচ হবে বলে খবর।

জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রাম বাংলার ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৩ হাজার বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছনোর কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত  রাজ্যে এ পর্যন্ত মোট ৬৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৭৭টি বাড়িতে পাইপলাইনের জল পৌঁছেছে। যার পরিমাণ মোট লক্ষ্যমাত্রার  ৩৮.২২ শতাংশ। আরও প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ ৩২,৬২২টি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছনোর কাজ বাকি। সব মিলিয়ে প্রায় ৬১.৭৮ শতাংশ কাজ এখনও বাকি। এর আগে জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে  রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করছে।

তবে ২০২৪-এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাতে রাজ্যে প্রতিটি পরিবারে  পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের পূর্ত, সেচ, ক্ষুদ্র সেচ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরকে যৌথ ভাবে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেল, জাতীয় সড়ক এবং কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে। এদিকে রাজ্যে প্রতিটি বাড়িতে জলের সংযোগ দিতে খরচ হবে ৫৮ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষেই খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। তবে দার্জিলিং, মালদহ, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার মতো জেলায় কাজ হয়েছে ১৭ থেকে ২৪ শতাংশ। যে সব জেলায় কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়, সেই সব জেলায় কাজে গতি আনতে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গোটা দেশে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।