স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (Swasthisathi Card) অপারেশন করাতে সম্মত হয়েছিল হাসপাতাল। কিন্তু তারপরেও অতিরিক্ত নগদ চাওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, টাকা দিতে না পারায় অপারেশন টেবিল থেকে রোগীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ (Bankura Police)। গত সোমবার সকাল সাড়ে দশটার নাগাদ পেটে ব্যথা নিয়ে বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় অটোচালক শেখ আলমগীর নামে এক ব্যক্তি। গতকাল তাঁর অপারেশনের সময় ধার্য হয়। সেইমতো ওটি -তে নিয়েও যাওয়া হয়। । ল্যাপ্র্যোস্কপি শুরুও করেছিলেন চিকিৎসক নিমাই মুর্মু। অভিযোগ, মাঝপথে আচমকাই অপারেশন বন্ধ করে রোগীর স্ত্রী শামিমাকে ডেকে পাঠান ওই চিকিৎসক। বলেন টাকা না দিলে অপারেশন হবে না। এরপরেই টেবিল থেকে রোগীকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সব হাসপাতালকে নিতে হবে। আর এই কার্ডের আওতায় বিনা পয়সায় মানুষ পরিষেবা পাবেন। সেখানে বাঁকুড়াতে এইভাবে কেন মাঝপথে অপারেশন বন্ধ করা হল? হাসপাতালের অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ অপারেশন চলাকালীন আরও ২০ হাজার টাকা নগদ দাবি করেন চিকিৎসক। এর পরই বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পুলিশের দারস্থ হন আলমগীরের দাদা শেখ জাহাঙ্গির। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে মন্তব্যে নারাজ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সহ বাঁকুড়া সদর থানার ওসিও।