রাজঘাটে তৃণমূলের অহিংস সত্যাগ্রহ ও তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সাংবাদিক বৈঠককে বানচাল করার ন্যাক্কারজনক চেষ্টা করে অমিত শাহর পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। “অভিষেককে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে”- সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুদীপ (Sudip Banerjee)।
রাজঘাটে অবস্থান চলাকালীন পুলিশের তরফে নানা ভাবে বাংলার বঞ্চিত মানুষগুলিকে হেনস্থা করার পর, এবার অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠকেও হামলা চালায় পুলিশ। মহিলাদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে বকেয়া আদায়ে আন্দোলনের প্রথম দিনেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল রাজধানী। এই নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ। তিনি বলেন, অভিষেককে মারতেই এই হামলা। ধর্নায় সাংসদ, রাজ্যের মন্ত্রীরা ছিলেন। তাঁদের উপর হামলা চালায় পুলিশ। ধিক্কার বিজেপি সরকার।
পুলিশি হেনস্থায় আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা কর্মী। চুরি গিয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ও সাংসদ শতাব্দী রায়ের ফোন। জুতো হারিয়ে গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর। ফোন চুরির ঘটনা নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় শান্তনু লেখেন, “My Samsung Galaxy Z fold phone has just been pickpocketed at Rajghat, Delhi, No of that phone is 8240716350.” এদিকে আইফোন চুরি গিয়েছে শতাব্দী রায়ের। তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যের মন্ত্রীদের মতো বিশিষ্ট, সম্মানীয় মানুষদের বিজেপি পুলিশের এই হেনস্থার তীব্র নিন্দা সব মহলের।