ছি বিজেপি ছি! অভিষেককে আটকাতে রাজঘাটে শাহের পুলিশের ‘গু.ন্ডামি’

0
1

তৃণমূলের আন্দোলন রুখতে অমিত শাহের পুলিশ যে হামলা চালাবে সে আভাস ছিল। তবে গান্ধী জয়ন্তীতে শান্তিপূর্ণ ‘সত্যাগ্রহে’ শাহের ‘গেরুয়া’ পুলিশের এমন নির্লজ্জ হামলা নিন্দার অতীত। রাজঘাটে অবস্থান চলাকালীন পুলিশের তরফে নানা ভাবে বাংলার বঞ্চিত মানুষগুলিকে হেনস্থা করার পর, এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকেও চলল পুলিশের হামলা। মহিলাদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে বকেয়া আদায়ে আন্দোলনের প্রথম দিনেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল রাজধানী।

বাংলার বকেয়া আদায়ে শান্তিপূর্ণ ধর্না কর্মসূচিতে বসেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলা থেকে যে বঞ্চিত মানুষরা দাবি আদায়ে এসেছেন, তাঁরাও কয়েকজন রাজঘাটে যান। কিন্তু তাঁদের চূড়ান্ত হেনস্থা করা হয়েছে। রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের দিকে তেড়ে যায় সিআইএসএফ। রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে, লাথি মেরে রাজঘাট থেকে সময়ের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয় বাংলার গরিব মানুষদের। এতেই শেষ নয়, শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ তুলতে দিল্লি পুলিশ বাহিনী ডাকে সিআইএসএফ। তবে, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচির করেই রাজঘাট থেকে বেরিয়ে আসেন অভিষক-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপর দ্বিতীয় দফায় দিল্লি পুলিশের গুন্ডামি শুরু হয় রাজঘাট থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন।

সাংবাদিক বৈঠক থেকেই রাজঘাটের ভেতর শাহের পুলিশের অত্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর নামেই এই মনরেগা প্রকল্প। গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই লড়াই শুরু করতে চেয়েছিলাম আমরা। ১ টার সময় আমরা সকলে রাজঘাটে উপস্থিত হই। ১.১০ মিনিট থেকে আমাদের সত্যাগ্রহ শুরু হয়। এই সময়ে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর কেন্দ্রের পুলিশ আমাদের লাগাতার হেনস্থা করেছে। মহিলাদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে ওখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য। ওদের জানা উচিৎ গান্ধী কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, এখানে বসার অধিকার সকলের রয়েছে।” তবে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন ফের হামলা চালায় পুলিশ। হুইসেল বাজিয়ে, লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ বাহিনী। প্রবল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় ওই স্থানে। বেশ কয়েকজনকে মারধোরও করা হয় বলে অভিযোগ। হুড়োহুড়িতে হারিয়ে যায় সাংসদ শান্তনু সেনের মোবাইল, জুতো হারিয়ে যায় রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর। পুলিশের বিরুদ্ধে বুট দিয়ে পা মাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই সাংবাদিক বৈঠক থামিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গান্ধী জয়ন্তীতে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের এহেন হামলার তীব্র নিন্দা করছে সব মহল। অভিযোগ উঠছে, নির্লজ্জ বিজেপি বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করার পর ভয় পেয়ে আন্দোলন থামাতে উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও তৃণমূলের স্পষ্ট বার্তা, যতদিন না বকেয়া আদায় হচ্ছে ততদিন জারি থাকবে আন্দোলন।