রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে(Sukanta Majumdar) ‘নম্বর ওয়ান মুর্খ’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। ট্রেন বাতিল নিয়ে সুকান্তর দাবিকে নস্যাৎ করে তাঁকে ‘মূর্খ’ বলেন অভিষেক। একইসঙ্গে জানান, “আবেদন করা না হলে রেল টাকা জমা নিল কেন?”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বকেয়া আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি ‘অযৌক্তিক’ প্রমাণ করতে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পাশাপাশি অভিযান আটকাতে কেন্দ্রের ট্রেন বাতিল প্রসঙ্গে সাফাই দিয়ে সুকান্ত বলেন, “ঠিক করে আবেদন করেননি। তাই ট্রেন পাননি। আর এখন ওঁরা নরেন্দ্র মোদীকে দুষছেন।” এর পাল্টা সুকান্তকে মুর্খ কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “আজকে সুকান্ত মজুমদার বলছে আবেদন করা হয়নি। ওটা হচ্ছে একটা মূর্খ। নম্বর ওয়ান মূর্খ। আবেদন করা না হলে রেল টাকা জমা নিল কেন? টাকাটা কি ভূতে দিল না কি ভূতে এসে জমা নিল?” জমা নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা রেল ইমেল করে জানিয়েছে বলেও দাবি করেন অভিষেক। ট্রেন বাতিল করে তৃণমূলের কর্মসূচি ভন্ডুল করার পরিকল্পনা করেছিল বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তা সত্ত্বেও যে তৃণমূল দমে যায়নি, তার বিবরণও তুলে ধরেন অভিষেক।
এদিকে, তৃণমূলের কর্মসূচি ঘিরে রাজঘাটে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রাজঘাটের সামনে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করছিলেন অভিষেক। সেই সাংবাদিক বৈঠক কিছু ক্ষণ চলার পরই দিল্লি পুলিশের তরফে বার বার ‘বাধা’আসতে শুরু করে। এক পুলিশ কর্মীকে বলতে শোনা যায়, অনেক হয়েছে। এ বার কথা বন্ধ করতে হবে। ফাঁকা করে দিতে হবে রাজঘাট চত্বর। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কার্যত রাজঘাট থেকে তাড়া করে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। কিছু কর্মী সমর্থক মারধরের অভিযোগও করেন। তৃণমূলের বিধায়ক এবং সাংসদদেরা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘গান্ধীজয়ন্তীর দিন আমরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। তার পরও আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হল। শুধু তা-ই নয়, মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়াও হয়েছে।’’