বৃষ্টি মাথায় করে বাসেই দিল্লির পথে রওনা দিলেন কয়েক হাজার জব হোল্ডার

0
3

বিজেপি ট্রেন বাতিল করেছে তো কী হয়েছে, বিকল্প পথেই জব কার্ড হোল্ডাররা দিল্লি যাবেন। দিল্লিতে ২ ও ৩ অক্টোবর প্রতিবাদ কর্মসূচি হবেই। ঠিক এমনটাই জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমত সড়কপথেই শনিবার দিল্লির পথে রওনা হলেন কয়েক হাজার জব হোল্ডার। মোট ৫০টি বাসে করে দলের জনপ্রতিনিধি এবং বঞ্চিত জব হোল্ডাররা দিল্লি পৌঁছবেন।বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আরও মানুষ ইন্ডোরে এসেছেন। তাঁরাও বিকল্প পথে দিল্লি যাবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলতে পারে এই বাস ছাড়ার প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুনঃবিজেপির চক্রা*ন্ত, প্রাকৃতিক বি*পর্যয় উপেক্ষা করে বাসেই দিল্লির পথে বাংলার ব*ঞ্চিতরা
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় বাসগুলি ছাড়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি।প্রথম বাসটি ছাড়ে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আসানসোল, ধানবাদ, বারাণসী, আগরা হয়ে দিল্লি পৌঁছবে বাসগুলি। প্রতিটি বাসেই ৭০ থেকে ৭২টি আসন থাকছে।
শুক্রবার রাতে নেতাজি ইন্ডোরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েক হাজার জব কার্ড হোল্ডার এখানে এসেছেন তাঁরা প্রত্যেকে বিকল্প উপায়ে দিল্লি পৌঁছবেন। সে ব্যবস্থা আমরা করছি। আমিও থাকব এই মানুষগুলির সঙ্গে দিল্লিতে। আমার যখনই কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে ঠিক সেই দিনগুলিতেই আমাকে ডেকে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে এদিন বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে যদি একজন গরিবের গায়েও হাত পড়ে তাহলে গণতান্ত্রিক ভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
সাংবাদিকরা ট্রেন বাতিল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিজেপি কতটা ভয় পেলে এটা করতে পারে। এখানে যারা এসেছেন জবকার্ড হোল্ডাররা। তাদের ৮০ শতাংশ মহিলা। তাদের অনেকে বাচ্চা কোলে নিয়ে এসেছেন। এরা প্রত্যেকে দু’বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা, বাংলা আবাস যোজনার টাকা পাননি। অভিষেকে সংযোজন, বিজেপি বলছে দুর্নীতি হয়েছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে দুর্নীতি হয়েছে, যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। ট্রেন বাতিল করবে কেন? এবার মানুষকেই ঠিক করতে হবে তারা মাথা নিচু করে বিজেপির ফোনে টাকা ছাড়াবে নাকি বোতাম টিপে বিজেপিকেই সরাবে। আগামী দিন মানুষই এর জবাব দেবে। একুশে নির্বাচনে যা ছিল চব্বিশে তার থেকে আরও খারাপ হবে বিজেপি ফল। এরা গরিব মানুষের হকের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা বানাবে। ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিমান কিনবে। দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদভবন হবে আর গরিব মানুষের হকের টাকা দেবে না, তা হতে পারে না। আমরা বারবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের রামলীলা ময়দানের দেয়নি। রাজঘাটের এখনও কোনও খবর নেই। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই গিরিরাজ সিংয়ের দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, তিনি দেখা করতে পারবেন না। তিনি নাকি দিল্লিতেই নেই। কিন্তু দেখা করতেই হবে। মন্ত্রী নেই তো কী হয়েছে, প্রতিমন্ত্রী দেখা করবেন। বাংলার হকের টাকা দিতেই হবে। সাফ কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।