১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায়ে দিল্লির কর্মসূচি সফল করতে জোরকদমে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বঞ্চিতদের দিল্লি নিয়ে যেতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। একদিকে যেমন বকেয়া অর্থপ্রাপকদের কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই দিল্লি এবং কলকাতায় বঞ্চিতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
শনিবার হাওড়া থেকে ২০ বগির বিশেষ ট্রেনে হাজার তিনেক কর্মীদের নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবে তৃণমূল। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবারই কর্মীরা চলে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় প্রমুখ। দিল্লিতে এই ধরনা কর্মসূচির দিনেই ফের ইডি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছে।যদিও এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তিনি ইডির ডাকে সাড়া দিতে পারছেন না। তাঁর দিল্লির কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন হবে না।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ অভিষেক রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই ইডির ডেকে পাঠানো একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে অভিষেককে রাজনৈতিকভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে বিরক্ত করা, হেনস্থা করা বিজেপির কাজ, এটা চেনা বিষয়। ঠিক যেভাবে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের সময় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আর এবার বাংলার প্রাপ্য টাকার দাবিতে দিল্লিতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ন্যায্য প্রাপ্য আদায়ে রাজধানী কাঁপিয়ে দেবে এই কর্মসূচি। আর তাতেই ভয় পেয়ে ঠিক কর্মসূচির দিনই ডেকে পাঠানো হল। তাতে অবশ্য আমাদের কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।
এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে তাতে ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মজয়ন্তিতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার কথা নেতৃত্বের। পরদিনের কর্মসূচি অবস্থান বিক্ষোভের। সেখানে কয়েক হাজার দলীয় নেতা-কর্মীর জমায়েতের কথা। যন্তরমন্তরে তার জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে তৃণমূল। বঞ্চনার প্রতিবাদে লেখা ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা করে দলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পদাধিকারীদের যাওয়ার কথা কৃষিভবন। সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে।