চলতি বছর ফের কলকাতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। দিকে দিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মৃত্যুর খবরও আসছে। করোনা মহামারির মত এবার ডেঙ্গু মোকাবিলাতেও ‘স্পর্শকাতর’ রাস্তা বা অঞ্চল চিহ্নিত করার কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। আপাতত ৩৭টি ওয়ার্ডের ৯২টি রাস্তার তালিকা তৈরি হয়েছে। চিহ্নিত করা এই রাস্তাগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে। যে রাস্তা বরাবর ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘনঘন খবর আসছে সেগুলি চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশাপাশি ‘স্পর্শকাতর’ ওয়ার্ডও চিহ্নিত হয়েছে। চিহ্নিত করা ৯০ শতাংশ রাস্তা দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংযুক্ত কলকাতার।
আরও পড়ুনঃডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮০২। গতবছর এই সময়কালে সংখ্যাটি ছিল ১৫২৩। অর্থাৎ এবছর প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ‘স্পর্শকাতর’ ৯২টি রাস্তার মধ্যে মাত্র ৯ টি উত্তর কলকাতার। বেলগাছিয়া রোড, কাশীপুর রোড, বি টি রোড, ক্যানাল ইস্ট রোড ইত্যাদি। এছাড়া বাইপাস সংলগ্ন পূর্ব কলকাতা, দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতা, দক্ষিণ, খিদিরপুর এবং বেহালা রয়েছে তালিকায়। এই তালিকায় আছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট এবং কালীঘাট রোডও। এছাড়াও কসবা, ভবানীপুর, নিউ আলিপুর, চেতলার মত জনবহুল এলাকাও রয়েছে এই তালিকায়। রাস্তাগুলি হল সুইনহো লেন, কুষ্টিয়া রোড, বিজয়গড়, নারকেলবাগান, ডিপিএস রোড, গলফ ক্লাব রোড, বাঁশদ্রোণী বিধানপল্লি, ভূপেন রায় রোড, পর্ণশ্রী পল্লি, চিত্তরঞ্জন কলোনি, সেন্ট্রাল পার্ক প্রভৃতি।
পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু রাস্তা আমরা চিহ্নিত করেছি। ওই রাস্তাগুলিতে বাড়তি মনিটারিং করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে নিয়মিত যাচ্ছেন। ওই অঞ্চলগুলিতে মূলত বহুতল, নির্মীয়মান বাড়ি, ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জমি বেশি পরিমাণে রয়েছে। বাড়তি সংক্রমণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেগুলি।’





































































































































