২০১১-র পর থেকেই কমছে ভোট। ২০২১-এ ঝুলি শূন্য। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ারের চেষ্টায় CPIM। বিভিন্ন এলাকার বেহাল রাস্তার ছবি তুলে হ্যাশট্যাগ ‘পথের দাবি’ লিখে স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করছেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। তবে, কমান্ট বক্সে তুমুল বিদ্রুপের মুখে পড়তে হচ্ছে সিপিএম নেতৃত্বকে। প্রবল কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, গল্পদাদুর আসর চালু করেছে সিপিএম।
‘নজরে পঞ্চায়েত’ থেকে শুরু করে ‘পাহারায় পাবলিক’-এর মতো প্রচার ধর্মী কর্মসূচি চালু করেও ভোটের খরা কাটেনি আলিমুদ্দিনের। এখন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করতে চাইছে তারা। কিন্তু মাঠে-ময়দানে তাদের জনসংযোগ তলানিতে। তাছাড়া লড়াই করার মতো তরুণ ব্রিগেডের সংখ্যাও কম। আর যাঁরা আছেন, তাঁরাও মাঠে নামার বদলে টিভির পর্দায় মুখ দেখাতে বেশি আগ্রহী। এখনও প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিতে হয় সত্তরোর্ধ্ব বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের। এই পরিস্থিতিতে স্যোশাল মিডিয়ায় জনসংযোগে নয়া রাস্তা খুঁজছে CPIM। স্থানীয় ইস্যুগুলিকেই প্রচারের অস্ত্র করতে চাইছে তারা। তবে, ৩৪ বছরের বাম অপশাসন ভোলেনি বাংলার মানুষ। তার প্রতিফলন রয়েছে কমান্ট বক্সে। কেউ লিখছেন, “আর মুখ খুলবেন না আপনারা। মানুষ ৩৪ বছর সব দেখেছে বলেই সিপিএমের জমানত জব্দ সর্বত্র“। কারও মতে, “শহরের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে দেখে আসুন রাস্তাঘাট আর পানীয় জলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার“।
আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় ক.ড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের! সরানো হল ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে
সিপিএমের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘গল্প দাদুর আসর একটাই আছে সিপিএমের। তারা কী করে শূন্য পেল সেলিম সেটাই বোঝাবেন। এর বাইরে আর কী হবে?’’