
১৭৯৩
রানি রাসমণির
(১৭৯৩-১৮৬১) জন্মবার্ষিকী। ‘শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গ’–এ স্বামী সারদানন্দ তাঁর পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছেন, “কলিকাতার দক্ষিণাংশে জানবাজার নামক পল্লীতে প্রথিতকীর্তি রাণী রাসমণির বাস ছিল। ক্রমশঃ চারিটি কন্যার মাতা হইয়া রানি চুয়াল্লিশ বৎসর বয়সে বিধবা হইয়াছিলেন; এবং তদবধি স্বামী ৺রাজচন্দ্র দাসের প্রভূত সম্পত্তির তত্ত্বাবধানে স্বয়ং নিযুক্তা থাকিয়া উহার সমধিক শ্রীবৃদ্ধিসাধনপূর্বক তিনি স্বল্পকালমধ্যেই কলিকাতাবাসিগণের নিকটে সুপরিচিতা হইয়া উঠিয়াছিলেন। কেবলমাত্র বিষয়কর্মের পরিচালনায় দক্ষতা দেখাইয়া তিনি যশস্বিনী হয়েন নাই, কিন্তু তাঁহার ঈশ্বরবিশ্বাস, ওজস্বিতা এবং দরিদ্রদিগের প্রতি নিরন্তর সহানুভূতি ২, তাঁহার অজস্র দান, অকাতর অন্নব্যয় প্রভৃতি অনুষ্ঠানসমূহ তাঁহাকে সকলের বিশেষ প্রিয় করিয়া তুলিয়াছিল। বাস্তবিক নিজ গুণ ও কর্মে এই রমণী তখন আপন ‘রাণী’ নাম সার্থক করিতে এবং ব্রাহ্মণেতরনির্বিশেষে সকল জাতির হৃদয়ের শ্রদ্ধা ও ভক্তি সর্বপ্রকারে আকর্ষণে সক্ষম হইয়াছিলেন।” তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা।

১৮৮৯ নলিনীকান্ত সরকার (১৮৮৯-১৯৮৪)
এদিন মালদহের কালিয়াচকে জন্মগ্রহণ করেন। একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি, গায়ক, সাহিত্যবোদ্ধা ও ছন্দশ্রী ছিলেন। তবে হাসির গানের রচয়িতা ও গায়ক হিসাবেই তাঁর বিশেষ খ্যাতি। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের চিরসুহৃদ। ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, কীর্তন, বাউল ছাড়া শ্যামসঙ্গীত, দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্তের গানও গাইতেন। কলকাতা বেতারকেন্দ্রের সূচনালগ্ন থেকে তাঁর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শেষ জীবন পণ্ডিচেরীর অরবিন্দ আশ্রমে কাটান।

১৯২৮ আজ থেকে ৯৪ বছর আগের এই দিনে নিতান্তই দুর্ঘটনাবশত আলেকজেন্ডার ফ্লেমিং-এর ল্যাবরেটরিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। তিনি ডায়েরিতে লিখেছেন, “২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৮ ভোরে উঠে বুঝলাম পরিকল্পনা না থাকা সত্ত্বেও আমি একটা বৈপ্লবিক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছি। বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিবায়োটিকটি আবিষ্কার করে ফেলেছি।”
১৮৯৫ লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) এদিন প্রয়াত হন। একজন ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে অণুজীব অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। জীবাণুতত্ত্ব ও বিভিন্ন রোগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় দ্বারা আবিষ্কার করেন জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক। শেষ জীবনে বাইবেল পাঠ আর উপাসনার মধ্যে নিজেকে সমর্পণ করেন এই বিজ্ঞানসাধক।

১৯২৯
লতা মঙ্গেশকরের
(১৯২৯-২০২২) জন্মদিন। এই স্বনামধন্য গায়িকা এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান গেয়েছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তাঁরই। ১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। পেয়েছেন পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ। ২০০১ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। ২০০৭ সালে পান ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দ্য ওনরের অফিসার খেতাব ।

১৯২৬ অনন্তহরি মিত্র (১৯০৬-১৯২৬) এদিন ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়েছিলেন। বিপ্লবী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। জেলে থাকার সময়েই প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী-সহ আরও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে অত্যাচারী পুলিশ অফিসার ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে হত্যা করলে বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়।