ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই পনেরো দফা কৌশল নিয়েছে রাজ্য সরকার। মানুষের সচেতনতার ঘাটতির পাশাপশি ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব বলেই ধারণা স্বাস্থ্য দফতরের। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলিতে ডেঙ্গির প্রভাব বেড়েছে। ফলে পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে এবার তৎপর রাজ্য।

পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর এবছর গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য বারের তুনায় বেশি। ফলে গ্রামাঞ্চলে বাড়তি নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের ডেঙ্গি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকায় বোর্ড গঠনে দেরি হয়েছে। ফলে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে কাজ ব্যহত হচ্ছে। পুরকর্মীরা পতঙ্গবাহিত রোগ নিধনে সম্যক অভিজ্ঞতা অর্জন করলেও পঞ্চায়েত কর্মীরা বিশেষভাবে জানেনা। এমনটাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সার্ভের মাধ্যমে উঠে এসেছে। সেই কারণেই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সোমবার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গেভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব। ডেঙ্গি দমনে গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ও শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে পুরসভার নিবিড় পরিকল্পনা কথা বলা হয়। ফলে আগামীদিনে পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যায় তাই পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এমনকি জেলাগুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
আরও পড়ুন- নজরে ফুলের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধি, কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে হরিণঘাটায় তৈরি হচ্ছে ক্লাস্টার


































































































































