সারমেয়দের উপর অকথ্য অত্যাচার করা মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে কম নয়। আবার পোষ্য হিসেবে তাদের আপন করে সন্তান স্নেহে প্রতিপালন করা মানুষের পরিসংখ্যান দেখলেও চমকে যেতে হয়। কিন্তু এ কেমন মানসিকতা যেখানে ৩৯ টি কুকুরকে ধর্ষণ (Dog Rape) করে খুন করলেন প্রাণিবিজ্ঞানী (zoologist)? আদালতে এই পৈশাচিক অপরাধের কথা স্বীকার করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাণীবিজ্ঞানী, বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির (National Geographic) কুমির বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম ব্রিটোন (zoologist Adam Briton)। ইনি কি সত্যিই মানুষ , প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।
পিএইচডি ডিগ্রি সহ নামী-দামি সংস্থায় কর্মরত ওই বিজ্ঞানী অসংখ্য কুকুরকে ধর্ষণ (Dog rape) করেছেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা আদালতে ওঠে শুনানির জন্য। আর সেখানেই তাঁর এই জঘন্য কৃতকর্মের কথা প্রকাশ্যে আসে। তিনি যেহেতু প্রাণীবিজ্ঞানী বলে পরিচিত তাই তাঁকে ভরসা করে অনেকেই প্রিয় পোষ্যকে রেখে যেতেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সারমেয়দের ধর্ষণ করতেন তিনি। শুধু তাই নয় যতক্ষণ না পর্যন্ত নিরীহ প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে ততক্ষণ চলত পৈশাচিক শারীরিক অত্যাচার। নিজের কর্মকাণ্ডের ভিডিও তুলে রাখতেন এই বিকৃত মানসিকতার বিজ্ঞানী। ২০১৪ সাল থেকে এই কুকীর্তি চালাচ্ছিলেন ব্রিটোন। সরকারি আইনজীবীর দাবি, ব্রিটোন একজন ধর্ষকামী। বিকৃত কাম চরিতার্থতার জন্য তিনি একটি বড় জাহাজের কন্টেনার ব্যবহার করতেন। আর সেখানেই কুকুরদের ধর্ষণ করতেন। বিজ্ঞানীর এই অসুস্থ মানসিকতার বর্ণনাতে হতভম্ব হয়ে যান বিচারক। অভিযুক্তের নজিরবিহীন শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে বলেই খবর।