রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন। নবান্নে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুসপ্তাহ আগে রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ শীর্ষে উঠেছিল। কিন্তু তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে রাজ্যে ২০০০ এর মত মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত। আগামী দিনে তা আরো কমবে। কাজেই আতঙ্কের কোন কারণ নেই। মানুষকে সতর্ক থাকার এবং জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করার তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন এবার অধাশহর এলাকা গুলিতে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এরকম ১৩০টির মতো এলাকাকে চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবর্জনা ও জমা জল সাফাইয়ের পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি দমনের সঙ্গে তো কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গরিব ও বস্তিবাসীদের মধ্যে আজ থেকে ১ লক্ষ মেডিকেটেড মশারি সহ পাঁচ লক্ষ মশারি বিলি করা শুরু হয়েছে। এদিকে ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। মৃতার নাম, প্রিয়া রায়। তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার রাতে এম আর বাঙুরে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

কয়েকদিন আগেই প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হন প্রিয়াদেবী। পরীক্ষা করাতেই তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল। প্রথমে রক্তের প্লেটলেট ঠিকই ছিল। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার তাঁকে এম আর বাঙুরে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরে ডেঙ্গি শক সিনড্রোম ছিল। বেশ কয়েকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। এদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে ডেঙ্গি নিয়ে তৎপর রয়েছে রাজ্য সরকরা। সোমবারই এই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয় নবান্নে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। জনগণকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইনও দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়েও সচেতন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে শোরুমের ছাদ কেটে ২৫ কোটি টাকার হিরে এবং সোনা লুঠ!

































































































































