অবিরাম বৃষ্টির জেরে রবিবার ধস (Landslide in Sikkim)নামল সিকিমের রাস্তায়। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে (NH-10)শ্বেতীঝোড়ার কাছে আচমকা ধস নামায় রাস্তার একাংশ বসে গেছে বলে খবর। ধসের সময় একটি গাড়ি নিচে পড়ে যায়। সেইসময় গাড়িতে ২ জন ছিলেন। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও অপরজন নিখোঁজ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কথা মাথায় রেখে আপাতত জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানান, ওই এলাকা এবং জাতীয় সড়কের অংশ মেরামত করা দরকার। না হলে ফের ধস নামলে বড় বিপদ হতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।
জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকার কারণে শিলিগুড়ি- সিকিম যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে খবর। ফলে বিপাকে পর্যটক থেকে সাধারণ যাত্রীরা। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে যে মেরামতির কারণে আপাতত রাস্তা বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে তিস্তা থেকে কার্শিয়াং বা গরুবাথান রোড, করোনেশন ব্রিজ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখন সিকিম থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাওয়া ছোট যানবাহনগুলি সুবিধামত রাস্তা ব্যবহার করতে পারে। বড় গাড়িগুলিকে যাতায়াত করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত। শুধু দার্জিলিং নয় শনিবার রাত থেকেই উত্তরের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণ চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি নদীগুলোতে জলস্তর অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি নদীগুলোর জল মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ, নবগ্রাম সহ একাধিক এলাকার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। ফলে প্লাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এই সমস্ত এলাকাগুলোতে। নবগ্রাম থানার জাফরপুর ঘাটের কাছে ডাঙ্গাপাড়া-মিল্কিগ্রামের মাঝখানে ব্রাহ্মণী নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ অংশ। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে শুক্রবার রাত থেকেই ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার সংযোগকারী এনএইচ ৮০ উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি নদীর জল বয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের অবস্থাও বেশ শোচনীয়। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে গঙ্গারামপুর পৌরসভার রামকৃষ্ণপল্লী, হাসপাতাল পাড়া ও কালীতলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে পুনর্ভবা নদী ফুলে ফেঁপে উঠার কারনে সুইচ গেট বন্ধ থাকার ফলে শহরের জল বাইরে বেরতে পারছে না।