যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মাথাতেই বীতশ্রদ্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। শনিবার প্রকাশ্যে ক্ষোভও উগরে দিলেন পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, কোনও সিদ্ধান্তই কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে।
লাগাতার ছাত্র আন্দোলনে বীতশ্রদ্ধ তিনি। জানালেন, তিনিও ব়্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বড় মাথারা ইন্ধন জোগাচ্ছেন ছাত্রদের। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে।শনিবার বুদ্ধদেব বলেন, “আমারও পদত্যাগ দাবি করছেন। অন্যায্য দাবি করছেন পড়ুয়ারা, আমার পদত্যাগ চাইছে। আমিও ব়্যাগিংয়ের শিকার। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না। এর পিছনে বড় মাথা রয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না। চাপ নিতে না পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস হাসপাতালে ভর্তি।”
উপাচার্য বলেন, “এদের মূল উদ্দেশ্য হল, বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ঢোকানো। এগুলো আমার ন্যায্য দাবি বলে মনে হয় না। যারা করছে, পরিকল্পনা মাফিক তাদের এগুলো করার মতো বয়স হয়েছে বলে মনে হয় না আমার। এর পিছনে কিছু পাকা মাথা কাজ করছে বলে মনে হয়। এদের দিয়ে এসব করাচ্ছে। সর্বনাশ করার চেষ্টা হচ্ছে ছাত্রদের। এটা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। নইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নষ্ট হয়ে যাবে।”
এদিন ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বুদ্ধদেব। তাঁর অভিযোগ, ‘‘১৩ হাজারের মধ্যে কিছু সংখ্যক ছাত্র বার বার এসে অহেতুক ঝামেলা করছেন। যেমন অল স্টেকহোল্ডার… আগের উপাচার্য নাকি করে গিয়েছেন, সেটাই নিয়ম! অথচ আমি আমাদের ল সেল, রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কোথাও থেকে অল স্টেকহোল্ডারের কোনও স্ট্যাটিউটরি টার্ম কেউ দেখাতে পারেননি।’’
তাঁকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, কিছু নিয়ম কার্যকর করতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বুদ্ধদেব। তাঁর দাবি, ছাত্রদের ভালর জন্যই কিছু বিধি-নিধেষ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাত ১১টার পর ছাত্ররা কোথায় ঘুরবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনই ব়্যাগিংয়ের শিকার বলে দাবি করেন তিনি। জানান, তাঁকে পর্যন্ত বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদবপুরে অরাজকতা চলছে, গণতন্ত্রের জায়গা নেই বলেও মন্তব্য করেন বুদ্ধদেব।