৫ সশস্ত্র যুবককে গ্রেফতারের(Arrest) পর থেকেই রণক্ষেত্র মণিপুর(Manipur)। সেই ঘটনার জেরে এদিন ফের একবার বিক্ষোভের আগুনে জ্বলে উঠল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের করা ওই ৫ সশস্ত্র যুবকদের জামিন দেওয়া হলেও তাঁদের মধ্যে একজনকে ফের হেফাজতে নেওয়া হয়। তার ফলেই ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার জনতা। অন্যদিকে, হিংসাদীর্ণ মণিপুরে কত পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করল বিরেন সিং সরকার(Biren singh Sarkar)। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্র ও সেনার পোশাক নিজেদের কাছে রাখার অপরাধে গত শনিবার সশস্ত্র পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছিল মণিপুরের নিরাপত্তাবাহিনী। সেই ঘটনার পর থেকেই তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে মণিপুরের জনতা। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় মেইরা পাইবি-সহ স্থানীয় পাঁচটি ক্লাব। এরপর শুক্রবার সকালে ইম্ফলের বিশেষ আদালতে ওই ৫ অভিযুক্তের জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে একজনকে ফের গ্রেফতার করে নিরাপত্তাবাহিনী। জামিনে মুক্ত চারজনকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলেও মইরংথাম আনন্দ নামে একজনকে ফের হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আনন্দ ‘নিষিদ্ধ পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সদস্য ছিলেন। এর পরই ইম্ফল ওয়েস্টে(Imphal West) বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়। উন্মুক্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হয় ১৫ জন।
অন্যদিকে, হিংসাদীর্ণ মণিপুরে কত পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করল বিরেন সিং সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। এবং এই রিপোর্ট কেবলমাত্র বিচারপতিদের জন্যই। গত ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মণিপুর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থার কাছে উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। অবশেষে পেশ হল সেই রিপোর্ট।