
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১-১৯৩২) এদিন ভারতের মুক্তি সংগ্রামের যূপকাষ্ঠে আত্মাহুতি দেন। মাস্টারদা সূর্য সেনের অনুগামী। চট্টগ্রামের পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযান শেষে অক্ষত দেহে বেরিয়ে আসেন। পরে দেশবাসীর কাছে আত্মদানের আহ্বান জানিয়ে পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রমথনাথ মিত্র (১৮৫৩-১৯১০) এদিন নৈহাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে বিপ্লবী সংগঠন প্রতিষ্ঠার পুরোধা পুরুষ। বিলেত থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফেরেন। সেখানে থাকার সময়েই আয়ারল্যান্ড ও রাশিয়ার বিপ্লবের বিষয়ে অবহিত হন। দেশে ফিরে সতীশচন্দ্র বসু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অনুশীলন সমিতির দায়িত্ব নেন। ভাল বক্তা ছিলেন। ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। কংগ্রেসে কোনওদিন যোগ দেননি। বাঙালিদের শরীরচর্চার ওপর জোর দিতেন। ‘যোগী’ নামে একটি উপন্যাস লেখেন।

ভূপতিমোহন সেন (১৮৮৮-১৯৭৮) এদিন প্রয়াত হন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ। মিশ্র গণিতে প্রথম হয়ে এমএসসি পাশ করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাংলার’ হন ও ‘স্মিথস’ প্রাইজ পান। পড়িয়েছেন ঢাকা কলেজ, রাজশাহী কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ১৯৩১-১৯৪৩। প্রখ্যাত চিকিৎসক স্যার নীলরতন সরকার তাঁর শ্বশুর।

১৮৪৬ সালে এদিন গ্রহ নেপচুন আবিষ্কৃত হয়। নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ এবং সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ। এটি রোমান সমুদ্র দেবতা নেপচুনের নামে নামাঙ্কিত। পরিধিতে চতুর্থ এবং ভরে তৃতীয় সর্ববৃহৎ গ্রহ হল এই নেপচুন।

আনন্দমোহন বসু (১৮৪৭-১৯০৬) ১৮৪৭ সালে এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করেছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। গণিত নিয়ে এমএ পরীক্ষায় প্রথম হন। ১৮৪৭-এ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম ভারতীয় ‘র্যাংলার’ হন। সিটি কলেজ ও সিটি স্কুল স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন স্থাপনেও এগিয়ে এসেছিলেন। হিন্দুমেলা ও বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন।

১৯০৭ সালে অজিতকুমার দত্ত (১৯০৭-১৯৭৯) এদিন ঢাকা বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। গত শতাব্দীর তিরিশ-চল্লিশ দশকের আধুনিক বাংলা কবিতার একজন বিশিষ্ট কবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ-তে প্রথম হন, সংস্কৃতে এমএ-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পড়িয়েছেন চন্দননগর কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘কুসুমের মাস’, ‘পাতালকন্যা’, ‘নষ্টচাঁদ’, ‘সাদা মেঘ কালো পাহাড়’ ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ ‘মন পবনের নাও’, ‘জনান্তিকে’ প্রভৃতি।

অসীমা চট্টোপাধ্যায় (১৯১৭-২০০৬) এদিন হুগলির গোপীনাথপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বিএসসি পরীক্ষায় বাসন্তীদেবী গোল্ড মেডেল পান। রসায়ন নিয়ে এমএসসি পাশ করেন। গবেষণা করে যোগমায়াদেবী স্বর্ণপদক, নাগার্জুন পুরস্কার পান ও পিআরএস হন। এদেশের অবহেলিত গাছগাছড়ার ভেষজ গুণ নিয়ে গবেষণাকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। পদ্মভূষণ সম্মান পান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ সায়েন্স ছিলেন। ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে প্রথম মহিলা সভাপতি। রাজ্যসভায় প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী তিনিই। আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ‘ওম্যান অফ দ্য ইয়ার’ সম্মানে সম্মানিত হন।