রাজ্যজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক (Dengue)। কলকাতা পুরসভার (KMC) মেয়র থেকে ডেপুটি মেয়র, প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা রাস্তায় নেমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডেঙ্গিতে আক্রান্তদের সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (Health Expert)।শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর। এর মধ্যে দু’জন কলকাতার। বাকি ৪ মৃত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা বলে খবর। মানুষ সচেতন না হলে কোনভাবেই এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলেই দাবি করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। পরিস্থিতির বদল ঘটানোর লক্ষ্যে এবার একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণা শুরু করতে চলেছে আইসিএমআর ও নাইসেড (ICMR and NICED)।
ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাইয়ের হানায় কাবু রাজ্যবাসী। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal health department) তরফে হাসপাতালে ডেঙ্গি ক্লিনিক গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আইসিএমআর ও নাইসেড (CMR and NICED) একসঙ্গে কাজ করলে সেটা নিঃসন্দেহে একটা শুভ ইঙ্গিত বহন করছে বলেই মত চিকিৎসকদের। নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত জানিয়েছেন যে ডেঙ্গির ভ্যাক্সিন প্যানাসিয়া বায়োটিক (Panacea Biotec) তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই দুটি পর্যায়ের স্টাডি হয়ে গিয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ট্রায়ালটাই আইসিএমআর ও নাইসেড যৌথভাবে করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।