লোকসভায় পাশ হয়ার পর বৃহস্পতিবার রাজ্য সভায় পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল(Woman Reservation Bill)। সংসদে এই বিল নিয়ে আলোচনায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন(Dola Sen) প্রশ্ন তুললেন, আরও একাধিক বিলের মতো এটাও একটা জুমলা নয়তো? এই বিলের দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। পাশাপাশি নারীদের ক্ষমতায়নে দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করা বাংলার কথা তুলে ধরলেন দোলা। ট্রেজারি বেঞ্চকে বাংলায় এসে দেখে যাওয়ার আবেদন জানালেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কীভাবে মহিলাদের উন্নয়ণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে দোলা সেন বলেন, “সাড়ে ৯ বছর রাজত্বের পর ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে তৎপর হয়েছে বিজেপি। আসলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ভোট বড় বালাই। কিন্তু কথা হচ্ছে বিল তো আমরা সকলেই সমর্থন করছি। কিন্তু এই বিল বাস্তবে কবে লাগু হবে? নাকি এনআরসি, সিএএ, শ্রমিক, কৃষক বিলের মতো এটাও জুমলা? বিল বাস্তবায়িত না হয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পড়ে থাকবে? আমরা চাই ২০২৪ সালের মধ্যে এই বিল বাস্তবায়িত হোক।” যদিও সেটা মোদি সরকার যে করবে না সেটাও স্পষ্ট করে দোলা জানান, এটাও একটা ২০২৪ সাল তো দূরের কথা ২০৩০ সালের মধ্যেও এই বিল বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ দেখানো হবে না। একইসঙ্গে রাজ্যের মহিলাদের জন্য একের পর এক উন্নয়ন মুলক প্রকল্পের উদাহরণ টেনে আনেন দোলা। যেখানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীরভাণ্ডার, বিধবা ভাতা, বিধানসভায় ৪০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ, মহিলা থানার কথা তুলে ধরেন। এবং ট্রেজারি বেঞ্চকে আবেদন জানান, বাংলায় এসে দেখে যাওয়ার জন্য কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের ক্ষমতায়ন করেছেন। নারী ক্ষমতায়নের আন্তর্জাতিক মান হল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আর্থিক সাবলম্বী এবং আবেগ। এই সবকটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, এই বিলের কৃতিত্ব যেভাবে মোদি সরকার একা নিতে চাইছে তা ঠিক নয় জানিয়ে দোলা বলেন, সংসদে এই বিল এই প্রথমবার নয়। ১৯৯৬ সালে সিপিআই-এর সাংসদ গীতা মুখোপাধ্যায় এই বিল সংসদে পেশ করেন যদিও তা পাশ হয়নি। পরে যে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠিত হয় সেখানে প্রধান ছিলেন গীতা দেবী। এবং সেই কমিটিতে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে প্রয়াত সাংসদ সুষমা স্বরাজের ভূমিকাও এই বিলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।