ফের জাতপাতের রাজনীতিতে আদিবাসী(Tribal) প্রৌঢ়কে নিগ্রহ বিজেপির(BJP)। প্রস্রাব কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আদিবাসী নিগ্রহের ঘটনায় শিরোনামে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ(Madhyapradesh)। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ইমেজ ঠিক রাখতে তৎপর হয়েছে গেরুয়া শিবির। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ওই নেতাকে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্ধু ভোমা সিংয়ের সঙ্গে বাইকে করে যাচ্ছিলেন ৫৭ বছরের বর্নু গন্ড। কিন্তু জামুড়ি গ্রামের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভোমার। এরপরই বর্নুকে নিগ্রহ করেন অভিযুক্ত গণেশ দীক্ষিত। তিনি পা থেকে চটি খুলে তাঁকে মারধর করেন বলেই অভিযোগ। গন্ড পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, দীক্ষিত বিজেপির নয়, কংগ্রেসের কর্মী। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে হাত শিবির। পরে জানা যায়, তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। মারধোরের সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মুখ পুড়েছে বিজেপির।
কিন্তু কেন অভিযুক্ত গণেশ এমন কাজ করলেন? তাঁর কথায়, “ভোমা দুর্ঘটনার পরও জীবিত ছিলেন। আমরা বর্নুকে বলেছিলাম ভোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু উলটে উনি আমাদের উপরেই চোটপাট করছিলেন। এর ফলে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বচসা চলতে থাকে। এর মধ্যে ভোমা মারা যান।” ওই নেতার দাবি, তিনি চটি দিয়ে মেরে হতভম্ব হয়ে যাওয়া বর্নুকে সংবিৎ ফিরে পেতে সহায়তা করছিলেন। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। পরে গেরুয়া শিবির তাঁকে বহিষ্কার করে।