বিশেষ অধিবেশনে ৩ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু, ইন্দিরা, মনমোহনের প্রশংসায় মোদি

0
1

সোমবার থেকে সংসদে(Parliament) শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর ভাষণে কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিরাচরিত আক্রমণের পথ ছেড়ে এদিনের ভাষণে দেশের অগ্রগতিতে জওহরলাল নেহরু(Jawaharlal Nehru), লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী(Indira Gandhi) এবং মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister)। পাশাপাশি বলেন, এই সংসদ ভবন বহু শোকের সাক্ষী। দেশের ৩ প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছিল এই সংসদ ভবন।

এদিন ভাষণের শুরুতেই জি-২০ সম্মেলনের সাফল্যের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, “এটা কোনও দলের নয়, বরং দেশের সাফল্য।” চন্দ্রযানের ৩-এর সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান ভারতের বিজ্ঞানীদের তথা ইসরোকে। এরপরই সংসদের স্মৃতিচারণ করে প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রীদের প্রশংসা শোনা যায় মোদির মুখে। তিনি বলেন, “নেহরুজির মধ্যরাতের ভাষণ চিরকাল আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এই হাউসেই অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু এই দেশ থাকবে।” পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছিল এই সংসদ ভবন। প্রত্যেকেই কংগ্রেস সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। যথাক্রমে জওহরলাল নেহরু, লালাবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধী। পাশাপাশি বলেন, অগুন্তি সংসদ সদস্যের অবদানে গড়ে উঠেছে এই দেশ। যা ভারতীয় গণতন্ত্রের গর্ব।

এদিন সংসদে ভাষণ দেওয়ার আগে অবশ্য লোকসভার বাইরে দাঁড়িয়েই মিনিট পাঁচেকের জন্য ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক বিষয় উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। মোদি বলেন, “এই বিশেষ অধিবেশন হয়তো দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট। কিন্তু এই বিশেষ অধিবেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই অধিবেশনেই বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” পাশাপাশি বিরোধীদের প্রতিবাদকে ‘কান্নাকাটি’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করে মোদিকে বলতে শোনা যায়, “কান্নাকাটি করার জন্য পরে অনেক সময় পাবেন। আপাতত সংসদের কাজে মন দিন। কারণ জীবনে খুব কম সময় আসে যখন মানুষের জীবনে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।”