
কুণাল ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী
বার্সেলোনা: প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে ‘দেশনেত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তিনি ভারতের এক অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিদেশের মাটিতে তিনি ভারতের প্রতিনিধি। তাঁর কথায়, ভারতে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। সেটাই তার ভিত্তি। দেশের বাইরে আমরা সবাই এক। দেশে রাজনৈতিক বিভেদ থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের বাইরে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের প্রতিনিধি।


আরও পড়ুন: ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হল কবিগুরুর শান্তিনিকেতন, উচ্ছ্বসিত মমতা-অভিষেক
বাংলার শিল্পবান্ধব ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ৩৪ বছরের কথা মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথায় বলেছেন ঠিকই, কিন্তু একবারও সিপিএমের নাম করেননি। দেশের নানা ভাষা, নানা মতের কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, এক এক রাজ্যের এক একরকম বৈচিত্র্য। আলাদা আলাদা জায়গার উল্লেখ করে, ভাষার উল্লেখ করে তা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাত থেকে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু থেকে পাঞ্জাব- সব রাজ্যের কথা উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। বলেন, দক্ষিণ ভারতের মানুষ তো হিন্দি বলতে পারেন না। কিন্তু তাঁরা কত স্মার্ট! আবার বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের ভাষার মধ্যে মিল রয়েছে। বাংলাতেও এক এক জেলায়, এক এক রকম টানে মানুষ কথা বলেন। এই সবটা মিলিয়েই আমাদের দেশ।


মহারাষ্ট্রের দুই নেতা শরদ পওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইতেই I.N.D.I.A জোটের তৃতীয় বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার যেমন রসগোল্লা তেমন অন্য জায়গার লাড্ডু। মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত গণেশ পুজো, ওড়িশায় পুরীর মন্দির। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সমগ্র ভারতের বৈচিত্র্যের চিত্র ফুটে ওঠে। কথাপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দিঘাতে পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির।

বার্সেলোনায় বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ম্যানেজমেন্ট পড়তে গিয়েছেন। রবিবার প্রবাসীদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও। তাঁরা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) আসছেন শুনেই দেখা করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আপনারা বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লেখাপড়া করুন। ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানুন। কিন্তু দেশে ফিরে আসুন। যে যেখান থেকেই গিয়েছেন সেই রাজ্যে ফিরে আসুন। দেশ গঠনে তরুণ প্রজন্মকে প্রয়োজন। আবেগে উচ্ছ্বাসে তখন ভেসে যাচ্ছে বার্সেলোনার অভিজাত ব্যাঙ্কোয়েট।

ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রকৃত দেশনেত্রীর মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন সমগ্র ভারতের চিত্র। এখানেই অন্যান্য অনেক নেতা-নেত্রীর থেকে অনন্য তিনি।





































































































































