মাস্টার্স ডিগ্রি পেতে আমেরিকার নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে (North East University, America)পড়াশোনা করছিলেন ভারতীয় ছাত্রী জাহ্নবী কান্দুলা (Jaahnavi Kandula)। গত জানুয়ারি মাসে সিয়াটেলে রাস্তা পার করতে গিয়েই গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলেন জাহ্নবী। তাঁকে যে গাড়িটি ধাক্কা মারে, সেটি চালাচ্ছিলেন কেভিন ডেভ (Kevin Dev)নামে এক পুলিশকর্মী। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৩ বছরের তরুণীর। এই ঘটনার পর এতটুকু সমবেদনা না দেখিয়ে উলটে তরুণীর মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করতে দেখা গেল এক মার্কিন পুলিশকে (American Police)। এ হেন আচরণে ক্ষুব্ধ ভারত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের তরফে বলা হয়, “এটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক”। ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার অবিলম্বে তদন্তের দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটই নিয়ে পুলিশকর্মীর ‘মজা’ করার মত আচরণকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন সানফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনস্যুলেট। এবার চাপের মুখে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন সিয়াটেলের মেয়র (Mayor of Seattle)।
বছর দুয়েক আগেই আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যান জাহ্নবী কান্দুলা (Jaahnavi Kandula)। চলতি মাসের ডিসেম্বরেই তাঁর ডিগ্রি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। কেভিনের গাড়িতে ধাক্কা লেগে ছাত্রীর মৃত্যু হলেও বিতর্কের কেন্দ্রে আরেক পুলিশ কর্মী ড্যনিয়েল।শনিবার সিয়াটেলর দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মেয়র ব্রুস হ্যারেল (Bruce Harrell)। এর পরেই জাহ্নবীর মৃত্যু এবং পরবর্তী ঘটনার জন্য ক্ষমা চান তিনি। ওই বৈঠকে সিয়াটেলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবীও ছিলেন। তিনি বলেন, “মেয়র ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, সেখান যা শোনা গিয়েছে, যে তিনি স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। জীবনের মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত।”